পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মৃতের কথোপকথন

মানুষ যদি আঁকড়ে ধ’রে থাকে। মুক্তি অর্থ—জীবন হ’তে মুক্তি। তৃষ্ণা, জীবনের তৃষ্ণাই সকল দুঃখের গোড়া। সুতরাং এই তৃষ্ণার নিরাকরণই মানুষের পরম শ্রেয়। আমি তাই শিক্ষা দিয়েছি, আমার সমস্ত সাধনাই এই, জীবন হতে কি ক'রে অবসর গ্রহণ করা যায়, জীবনের স্রোতে যে ভেসে চলেছি তা থেকে কি ক'রে উদ্ধার পাওয়া যায়, জীবনের স্রোতকে কি ক'রে বন্ধ করা যায়। জীবনের নির্ব্বাণই পরি-নির্ব্বাণ।

কং-ফুৎস

 একটা দিক তুমি অত্যন্ত বড় ক'রে দেখছ, সিদ্ধার্থ, তাই সৃষ্টি তোমার কাছে এমন বিভীষিকা। জীবনে দুঃখ আছে—তুমি যত দৈত্যদানার নাম করলে সবই আছে—তাই বলে’ জীবনটা যে ব্যর্থ, তাকে উড়িয়ে দেওয়াই যে পরম পুরুষার্থ, এমন

১৩২