পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

পতনোন্মুখ প্রস্তরস্তূপ হয়ত একটি মাত্র পদাঘাতে নাড়িয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু সেই পাথর অদম্যবেগে সব ভেঙ্গে চুরে ক্রমেই নাম্‌তে থাকে যখন তখন তার সাথে সমান তালে চলা, তাকে আরও জোরে ঠেলে দেওয়া যে সে শক্তির কাজ নয়। দৈত্যকে ডেকে আনা বরং সহজ কিন্তু ডেকে এনে নিত্য তার কাজের খোরাক জোগান, তার ঘাড়ে চেপে আর একটা দৈতাই হয়ে উঠা— এজন্য চাই অমানুষী তেজ একটা অলৌকিক সামর্থ্য। তুমি সৃষ্টিকর্ত্তা হ’তে পার, মিরাবো, কিন্তু তোমার সৃষ্টি তোমার চেয়ে বড়, তোমাকে ছাড়িয়ে গেছে। নিজের কাজের দিকে তুমি নিজে মুখ তুলে তাকাতে পার নি। যে শক্তিকে তুমি জাগিয়েছিলে, তার সব অর্থ তুমি বোঝ নি, তার কাজ শেষ হওয়া ত দূরের কথা, একটু এগিয়ে যেতে না যেতেই তুমি

৩১