পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

তখন দেশের শক্তি গিলটিনের করাল কৃপাণ-মূর্ত্তি নিয়ে আমারই মধ্যে পূর্ণভাবে আবির্ভূত হ’ল। সে রুদ্রশক্তি বড় ছোট মানে না, দান্তন—তাই অক্লেশে তোমাকে পর্য্যন্ত সরিয়ে দিলে। যা কর‍্তে হবে তা আধখানা করে রাখা উচিত নয়, তাকে শেষই করতে হবে, সে জন্যে যতদূর যাওয়া দরকার যেতেই হবে। আদর্শের চাই চরম সিদ্ধি —কঠিন ভীষণ ব’লে মাঝ-পথে যে রফার মিটমাটের জন্যে উদ্গ্রীব হয়, সে সাধক ভ্রষ্ট, পতিত, আদর্শের শত্রু।

দান্তন

 হাত যখন হাতের পিছনে যে শক্তি আছে তাকে ছাড়িয়ে যায়, যন্ত্র যখন যন্ত্রীর কর্ত্তা হ’য়ে তাকে চালাতে চায়, তখন যে কি ফল দাঁড়ায় তার মূর্ত্তিমান নিদর্শন, তুমি রোব‍্সপিয়ের। দান্তন

৩৬