পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

পূর্ব্বে শত্রুর সাথে সহজেই সন্ধি করি। অবস্থা না বুঝে, বাস্তবের দিকে না তাকিয়ে কেবল গায়ের জোরে কতদূর এগুতে পার, তার পরিচয় তোমার নিজের পরিণাম।

কেদার রায়

 ভগবান বিমুখ ছিলেন, হয়ত আমার সে চরম সামর্থা ছিল না— কিন্তু বাঙ্গলার শিক্ষাদীক্ষার সমাজের ধর্ম্মের অটুট একত্ব বজায় রাখতে হবে, বাঙ্গালীর শক্তিকে এক কেন্দ্রগত হয়ে উঠ‍্তে হবে। যে অবস্থার দিকে তাকায়, আগে হতেই সন্ধির জন্য উদ্গ্রীব হয়ে পড়ে, সে শক্তিকেও পাবে না, সুবিধাকেও সৃষ্টি কর‍্তে পারবে না। আমি প্রাণ দিয়েছি, সন্ধি করি নি। প্রাণ দিয়ে প্রাণ জাগাতে হয়। নতুবা সন্ধি আরম্ভ করলে তার কি শেষ আছে?

৬৩