পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

কি রকমে অর্দ্ধ-জগৎ শিক্ষায় দীক্ষায় ভারতের শিষ্যত্ব গ্রহণ কর‍্বে? ধন্য সে মুহূর্ত্ত যখন ভগবান তথাগত বালিকা মূর্ত্তি ধ’রে আমার সম্মুখে উপস্থিত হলেন, আমার আসুরী অজ্ঞান-অন্ধকার দূর করে দিয়ে, সেখানে দিব্য জ্ঞানের স্নিগ্ধ-জ্যোৎস্না ফুটিয়ে তুল‍্লেন! ধন্য আমার সে কলিঙ্গ অভিযান!

চন্দ্রগুপ্ত

 তোমার ব্যক্তিগত জীবনের পক্ষে তা মঙ্গলকর হ’লেও হ’য়ে থাক‍্তে পারে, আমি জানিনে, সে প্রশ্নও তুল্‌ছি নে। কিন্তু দেশের পক্ষে তার মত ঘোরতর অমঙ্গলকর বোধ হয় আর কিছু হয় নি। চণ্ডাশোকের নাম যেদিন হলো প্রিয়দর্শী, রাজা যেদিন ভিক্ষু-ধর্ম্ম অবলম্বন কর‍্লে, যোদ্ধারা সব অসির পরিবর্ত্তে ভিক্ষাপাত্র, বর্ম্মের পরিবর্ত্তে চীর ধারণ কর‍্তে আরম্ভ করলে, সেই দিনই জান‍্লেম,

৭৪