পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

তাকে পায়ে ঠেলেছে। পূর্ব্বের কিছু সুকৃতি ছিল, তাই ক্ষয় হয়েছে তোমার বৌদ্ধ যুগের ঐশ্বর্য্যে।

অশোক

 কিন্তু এ একটা ব্যাখ্যা মাত্র—বাস্তবকে সহজভাবে না দেখে, বিকৃত ক’রে দেখা—গুণের ভাগটি সমস্ত নিজের কোলে নিয়ে, দোষের ভাগটি অপরের উপর চাপিয়ে দেওয়া তথাগত যে অন্তরের প্রেরণা ভারতবর্ষে জাগিয়ে দিয়েছিলেন, তার শ্রেষ্ঠ অভিব্যক্তি সর্ব্বস্বত্যাগী শ্রমণের জীবনে। কিন্তু সেই প্রেরণাই অন্যদিকে শিল্পী-প্রতিভা খুলে দিয়েছে, কর্ম্মীর কর্ম্মকে নতুন ছাঁচে ঢেলে দিয়েছে। নির্ব্বাণ হচ্ছে চরম লক্ষ্য। কিন্তু যে সাধনায় সেই চরম সিদ্ধি, সেই সাধনাই অন্তরের শ্রেষ্ঠ শুদ্ধ প্রেরণা সব ফুটিয়ে তোলে, ঐ এক লক্ষ্যে চালিয়ে দেয়, জীবনের সব ধারাকে বিকশিত করে ঐ এক

৮১