পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

অশোক

 কিন্তু এ কি দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত সত্যের সমন্বয় করার অসম্ভব চেষ্টা নয়? ভগবান তথাগত এই জন্যেই কি ব্রাহ্মণ্যধর্ম্মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন না? এক দিকে ত্যাগ অহিংসা আর এক দিকে ভোগ হিংসা, এই দুই ধারা একই সমাজের বুকে স্থান পেলে সে সমাজ যে খণ্ডিত হয়ে পড়বে, সে সমাজই যে ধ্বংস পাবে তা’ত আশ্চর্য্য নয়। দুটি বিরোধী ধর্ম্মের মধ্যে সামঞ্জস্য চলে না, এদের একটীকেই বরণ ক’রে নিতে হবে। নতুবা গোঁজামিল দিয়ে দুই শত্রুকে একসঙ্গে বেঁধে রাখবার চেষ্টা করলে তার মধ্যে দ্বন্দ্বের বীজ থেকে যাবে। তা ছাড়া সমাজে এ রকম ভেদনীতি বৈষম্য অনর্থক মনান্তর সৃষ্টি করে। শূদ্রের বেদপাঠে অধিকার নাই, আশ্রমের পর আশ্রম পার না হয়ে গেলে

৮৯