পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

ভাবই স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়। শক্তি ও প্রীতির সামঞ্জস্য আছে, হতে পারে। আদর্শ মানুষে, আদর্শ সমাজে উভয়েরই সমান স্ফূর্ত্তি। বাহুবল ঘৃণ্য নয়, বাহুবলের সাথে অন্তরাত্মার বলের দ্বন্দ্বই থাক‍্বে এমন কোন কথা নেই। বাহুবলও অন্তরাত্মার বলেরই অভিব্যক্তি হতে পারে। ভারতের প্রাচীন সাধনা দেহের সাথে আত্মার, ঐহিকের সাথে পারত্রিকের একটা সমন্বয় চিরদিনই করে এসেছে। তোমার তথাগত একটা নতুন তথ্য এনে সে সাধনাকে ভেঙ্গে দিয়ে একটা অযথা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তবুও বুদ্ধদেব তাঁর সাধনা নিয়ে একটা আলাদা ক্ষেত্র তৈরী করে তাতেই সন্তুষ্ট ছিলেন—তুমি কিন্তু এক ক্ষেত্রের ধর্ম্মকে আর এক ক্ষেত্রের উপর চাপিয়ে দিয়ে, মঠের সন্ন্যাসের যে সাধনা তাকে সমষ্টিগত জাতীয় জীবনের সাধনায়

৯৪