পাতা:মৃদঙ্গ - শাহাদাৎ হোসেন.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰমজগন তোমারে সালাম করি নিখিলের হে চির-কল্যাণ— জান্নাতের পুণ্য অবদান ! যুগ-যুগান্তর ধরি বর্ষে বর্ষে আসিয়াছ তুমি দিনান্ত কিরণে চুমি” ধরণীর বনান্ত বেলায় । অস্তসিন্ধুকূলে দূর প্রতীচির নীলিমার গায় দ্বিতীয়ার পুণ্য তিথি প্রতি বর্ষে আঁকিয়াছে তোমার আভাস দিক হ’তে দিগন্তরে জাগিয়াছে পুলকের গোপন উচ্ছাস । আজি ফুরায়েছে সব— উচ্ছসিত কলকণ্ঠে বাজেনাকে আনন্দের গীতি-কলরব । অত্যাচার, অনাচার, নিৰ্ম্মম পীড়নে জীবন্মত পড়ে আছি ধরণীর একান্তে নির্জনে ; দীর্ণ বক্ষে জাগে শুধু মৰ্ম্মভেদী তপ্ত হাহাকার নয়নে ঘনায়ে আসে মরণের গাঢ় অন্ধকার। আনন্দের হাসি কোথা, কোথা নব জীবনের গান স্বরহারা ভগ্নকণ্ঠে ফোটে শুধু ব্যথা-ভরা করুণার তান । বিপুল এ পৃথ্বী আজি দাবদগ্ধ পড়ে আছে বিরাট শ্মশান— গৌরবের মহা-অবসান ; সর্ববহার জীবন্ত কঙ্কাল লুটাইছে বুকে তার আৰ্ত্তকণ্ঠে মুহূমুহ ফুটিতেছে মৰ্ম্মম্ভদ মরণ-চীৎকার,