পাতা:মৃদঙ্গ - শাহাদাৎ হোসেন.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিমেষে নিমেষে বিভীষিকা হেরে—মৃত্যুর ফরমান ওই এল বুঝি—মহ আতঙ্কে শিহরিয়া কাপে প্রাণ । আবর্জনার স্ত পতলে চায় বাচিতে লুকায়ে মুখ প্রেতের মুত্র ন্যস্কার খেয়ে জীবনে গণিছে মুখ । 米 ওরে কঙ্কাল! ধরণীর চির জাগ্রত অভিশাপ ! নিখিল নরের যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত মহাপাপ ! গোরস্থানের জমিন অ্যাকড়ি কতকাল রবি' আর দুনিয়ার দেন মেটেনি এখনো—জেগে ওঠ আরবার । কবির কণ্ঠে তুর্য্য-মন্দ্রে জাগিয়াছে আহবান কে আছ যাত্রী মুক্তি-পন্থে আগুয়ান—আগুয়ান ! ইরাণ তুরাণে দুন্দুভি বাজে হুঙ্কারে আফগান, আলবুরুজের পাদমূলে ওই গৰ্জিছে শিস্তান। রুদ্র কণ্ঠে হাকে মহাচীন তাজ খুনে চায় বলি, সাইবরিয়ার হিমানীর বুকে আগুন উঠেছে জ্বলি । তুই শুধু রবি অনড় অ-সাড় অাঁধারের জঞ্জাল মহাপাতকের জাগ্রত ছবি অতীতের কঙ্কাল ! স্পন্দন বুকে জাগিবে না তোর, তপ্ত শোণিতধারা ধমনীতে আর বহিবে না কভু—ও রে ও সৰ্ব্বহার ! বিজলী-বজে ঝলিবে না তোর দুধারি জুলফিকার হায়দারি হাকে কঁাপিবে না আর ভিত্তি সে দুনিয়ার ? ‘ওমর ‘আলীর ‘খালেদের খুন ধমনীতে বহে যার যুগভেরীনাদে সে যদি না জাগে কে তবে জাগিবে আর ? Ᏹ8