পাতা:মৃদঙ্গ - শাহাদাৎ হোসেন.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כיסא সুদতঙ্গ জীবনের শ্রেষ্ঠ কাম্য মোর-প্রক্ষালিয়া তটভূমি বহিতেছ সম্মুখে আমার, সীমাহীন মুদূরের পানে—অপরূপ বিচিত্র বিলাসে। অনন্তপুরের তুমি রঙ্গিনী নায়িকা, উলসিত বিলোল নৰ্ত্তনে কভু যাও হিল্লোলিয়া তনুখানি কল্লোল-গুঞ্জনে, কতু উন্মত্তা ভৈরবী প্রলয়ের ক্ষিপ্ত সহচরী অট্টহাসে মহাকাল ধূর্জটর যোগ ভঙ্গ করি বিরাট ধ্বংসের সনে নৃত্য কর উদ্ভট উল্লাসে । সঘন কম্পনে মূৰ্ছিত মেদিনী পড়ে, মহাত্ৰাসে দেবদৃষ্টি মুদে আসে, রুদ্ধ হয় নন্দন-তোরণ, নাগলোকে সঙ্কুচিত বাসুকীর ফণা । চিরন্তন এ লীলা তোমার—অবিশ্রান্ত অবারিত চলিয়াছে যুগ-যুগ ধরি কাহার উদ্দেশে ? ওই মিশিয়াছে যেথা দূরে—বহুদূরে অন্তহীন নীলিমার তীরে ধরণীর শুাম সীমা-রেখা ; যার প্রান্ত হতে ফিরে আসে উৎসুক নয়ন,—সেথা কি বাঞ্ছিত তব আশাপথ চাহি ? মিলন-ব্যাকুলা তাই অর্থহারা ভাষা নিয়ে ছুটিয়াছ চিরনিশিদিন উচ্ছ জ্বল গানে, লীলাচ্ছলে নূতন করিয়া গড়ি জীর্ণ পুরাতনে, নূতনেরে করি পুরাতন । কত কথা পড়ে মনে শ্বামল সৈকতে তব আজি এই সন্ধ্যার বিজনে ।