বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মেঘনাদ সমালোচন.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেঘনাদ সমালোচন।

কি ছলে ছলিল রামে, ঠাকুর লক্ষ্মণে
এ চোর; কি মায়াবলে রাঘবের ঘরে
প্রবেশি, করিল চুরি এ হেন রতনে?
যথা গোমুখীর মুখ হইতে সুস্বনে
ঝরে পুত বারিধারা, কহিলা জানকী,
মধুর ভাষিণী সতী, আদরে সম্ভাষি
সরমারে,—হিতৈষিণী সীতার পরমা
তুমি, সখি! পূর্ব্বকথা শুনিবারে যদি
ইচ্ছা তব, কহি আমি, শুন মন দিয়া। ইত্যাদি—

 গ্রন্থকার গ্রীক ও রোমীয় কবিগণের প্রথানুসারে কাব্যের মধ্যে মধ্যে কবিকুলগুরু বাল্মীকি ও স্বরস্বতীকে সম্বোধন করিয়া অনুগ্রহ প্রার্থনা করিয়াছেন। পাঠকগণের দর্শনার্থ এ স্থলে একটা উদাহরণ উদ্ধৃত করা যাইতেছে। গ্রন্থকার চতুর্থ সর্গের প্রারম্ভে লিখিতেছেন।

নমি আমি, কবি-গুরু, তব পদাম্বুজে,
বাল্মীকি[]! হে ভারতের শিরঃ চূড়ামণি,

  1. বঙ্গীয় কবিগণের মধ্যে অনেকেই রামচন্দ্রের পবিত্র চরিত্র অবলম্বন করিয়া অনেক কাব‍্য প্রণয়ন করিয়াছেন, কিন্তু যিনি সর্ব্বাগ্রে রামায়ণ লিখিয়া রামচন্দ্রের বিশুদ্ধ চরিত্রের বিষয় জনসাধারণের