সম্পাদন করে। কিন্তু যেমন মানব শরীরে সর্ব্বদা ভূষণ দৃষ্ট হয় না, সেইরূপ শব্দার্থেও সকল সময়ে অলঙ্কার বিদ্যমান থাকে না। সময়ে সময়ে শব্দার্থে অলঙ্কারের অসদ্ভাবও দৃষ্ট হইয়া থাকে। এজন্য প্রাচীন পণ্ডিতেরা অলঙ্কারকে শব্দার্থের অচিরস্থায়ী ধর্ম্ম বলিয়া নির্দ্দেশ করিয়া গিয়াছেন। অলঙ্কারের যেরূপ লক্ষণ নির্দিষ্ট হইল, উহা সকল ভাষাতেই একরূপ, কুত্রাপি উহার ব্যভিচার সৃষ্ট হয় না।
আলঙ্কারিকেরা অলঙ্কারকে দুই ভাগে বিভাজিত করিয়াছেন। শব্দালঙ্কার ও অর্থালঙ্কার। বাঙ্গালাভাষায় যে সমস্ত শব্দালঙ্কার প্রচলিত আছে, তন্মধ্যে অনুপ্রাস ও যমক প্রধান।
অনুপ্রাস। (Alliteration)
যে স্থলে দুই বা ততোঽধিক ব্যঞ্জন বর্ণের সাদৃশ্য থাকে, তথায় অনুপ্রাস অলঙ্কার হয়। অনুপ্রাসস্থলে স্বরবর্ণের সাদৃশ্য না থাকিলেও কোন হানি নাই। অনুপ্রাস গদ্য ও পদ্যে ব্যবহৃত হইয়া থাকে।
“হায় রে, কেমনে,
ভব ভবনের কবি বর্ণিবে বিভব?
দেখ, হে ভাবুক জন, ভাবি মনে মনে?"
এই অনুপ্রাসঅলঙ্কার আধুনিক কবিগণের অতিশয় প্রিয়, কিন্তু প্রাচীন কবিরা তাদৃশ অনুপ্রাস-