বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মেঘনাদ সমালোচন.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেঘনাদ সমালোচন।
৫৫

 এদিকে কৈলাসধামে ভক্তবৎসল মহাদেব মেঘনাদের নিধন জন্য দুঃখ প্রকাশ করিয়া ভগবতীকে কহিতেছেন, দেবি! তোমার অনুরোধে আমি বাসবের বাসনা পূর্ণ করিলাম। এক্ষণে অনুমতি কর, আমি একবার দশাননের সন্তোষ বিধান করি এতদুত্তরে ভগবতী কহিতেছেন।

উত্তরিলা কাত্যায়নী, যাহা ইচ্ছা কর,
ত্রিপুরারি! বাসবের পূরিবে বাসনা,
ছিল ভিক্ষা তব পদে, সফল তা এবে।
দাসীর ভকত, প্রভু, দাশরথি রথী;
এ কথাটী বিশ্বনাথ, থাকে যেন মনে!
আর কি কহিবে দাসী ওপদ রাজীবে?

 এই স্থলটী অতিশয় প্রসাদগুণ সম্পন্ন হইয়াছে। আবৃত্তি মাত্রেই উহার অর্থগুলি স্পষ্টরূপে অনুভূত হয়। গ্রন্থকার ঐস্থলে কবিকুলগুরু বাল্মীকির রচনা প্রণালী অনুসরণ করিয়াছেন।

 সপ্তমসর্গে উভয় পক্ষের সৈন্যসজ্জা, সৈন্য প্রয়াণ ও সংগ্রাম বর্ণন অতীব রমণীয় হইয়াছে। এস্থলে ইহা উল্লেখ করা আবশ্যক, যে গ্রন্থকার মানবনাশিনী চণ্ডীর সহিত রাক্ষসসেনার যেরূপে উপমা নিয়াছেন, তাহা পড়িয়া দেখিলে গ্রন্থকারের কবিত্ব ও বর্ণনাশক্তির ভূয়সী প্রশংসা করিয়া ক্ষান্ত থাকিতে