বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মেঘনাদ সমালোচন.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেঘনাদ সমালোচন।
৬১

 নবম সর্গের যেস্থলে প্রমীলা সহমরণে উদ্যত হইয়া স্বামীর চিতায় আরূঢ়া হন ও শোকাকুল লঙ্কেশ্বর নিকটে যাইয়া পরিদেবিত-পরিপূর্ণ আত্মবৃত্তান্ত বর্ণন করেন, ঐ অংশের রচনা এরূপ স্বভাবানুযায়িনী ও হৃদয়গ্রাহিণী হইয়াছে, যে তৎপাঠে পাঠকমাত্রেরই অন্তঃকরণ করুণরসে আর্দ্র হয়।

অগ্রসরি রক্ষোরাজ কহিলা কাতরে
ছিল আশা, মেঘনাদ, মুদিব অন্তিমে
এ নয়নদ্বয় আমি তোমার সম্মুখে;—
সঁপি রাজ্যভার, পুত্ত্র, তোমায়, করিব
মহাযাত্রা! কিন্তু বিধি বুঝিব কেমনে
তাঁর লীলা? ভাঁড়াইলা সে সুখ আমারে!
ছিল আশা, রক্ষঃকুল রাজ সিংহাসনে
জুড়াইব আঁখি, বৎস, দেখিয়া তোমারে,
বামে রক্ষঃকুললক্ষ্মী রক্ষোরাণীরূপে
পুত্ত্রবধূ! বৃথা আশা! পূর্ব্বজন্ম ফলে
হেরি তোমা দোঁহে আজি এ কাল-আসনে!
কর্ব্বরি-গৌরবরবি চির রাহু গ্রাসে!
সেবিনু শিবেরে আমি বহু যত্ন করি,
লভিতে কি এই ফল? কেমনে ফিরিব,—
হায়রে, কে কবে মোরে, ফিরিব কেমনে
শূন্য লঙ্কাধামে আর? কি সান্ত্বনা ছলে