পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ver ( - গিয়া উনুন ধরাইবার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। মেয়েকে বলিলেনএখনও নাইতে যাসনি যে, কোথায় ছিলি এতক্ষণ ? ক্ষেস্তি তাড়াতাড়ি উত্তর দিল-এই যে যাই, মা, এক্ষণি যাব। আর, अलक्ष ! ক্ষেন্তি স্নান করিতে যাইবার একটুখানি পরেই সহায়হরি সোৎসাহে পনেরো ষোল সের ভারী একটা মেটে আলু ঘাড়ে করিয়া কোথা হইতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং সম্মুখে স্ত্রীকে দেখিয়া কৈফিয়তের দৃষ্টিতে সেই দিকে চাহিয়াই বলিয়া উঠিলেন-ওই ও পাড়ার ময়শ চৌকীদার রোজই বলে-কীৰ্ত্ত-ঠাকুর, তোমার বাপ খাকতে তবু মাসে মাসে এদিক তোমাদের পায়ের ধূলো পড়ত, তা আজকাল তো তোমরা আর আস না, এই বেড়ার গায়ে মেটে আলু ক’রে রেখেছি তা দাদাঠাকুর বরং••• অন্নপূর্ণ স্থির দৃষ্টিতে স্বামীর দিকে চাহিয়া বলিলেন—বরোজপোতার বনের মধ্যে বসে খানিক আগে কি করছিলে শুনি ? সহায়হরি অবাক হইয়া বলিলেন-আমি ! না। আমি কখন ? কক্ষনে। না, এই ত আমি-সহায়হরির ভাব দেখিয়া মনে হইতেছিল তিনি এইমাত্র আকাশ হইতে পড়িয়াছেন । অন্নপূর্ণ পূর্বের মতনই স্থির দৃষ্টিতে স্বামীর দিকে চাহিয়া বলিলেন-চুরি তো করবেই, তিন কাল গিয়েছে এক কাল আছে, মিথ্যা কথাগুলো আর এখন বোলো না ...আমি সব জানি। মনে ভেবেছিলে আপদ ঘাটে গিয়েছে আর কি-দুর্গার মা ডেকে পাঠিয়েছিল, ও পাড়ায় যাচ্ছি শুনলাম বরোজপোতার বনের মধ্যে কি সব থুপ খুপ শব্দ-তখনি আমি বুঝতে পেরেছি, সাড়া পেয়ে শব্দ বন্ধ হয়ে গেল, যেই আবার খানিকদূর গেলাম আবার দেখি শব্দ-তোমার তো ইহকালও নেই। পরকালও নেই, চুরি করতে, ডাকাতি করতে যা ইচ্ছে কর কিন্তু মেয়েটাকে আবার এর মধ্যে নিয়ে গিয়ে ওর মাথা খাওয়া কিসের জন্যে ? সহায়হরি হাত নাড়িয়া, বয়োজপোতায় তাহার উপস্থিত থাকার বিরুদ্ধে কতকগুলি প্ৰমাণ উত্থাপন করিবার চেষ্টা করিতে গেলেন ; কিন্তু স্ত্রীক্ষা