পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘ-মার হ’তেই তার মন অবশ হয়ে আসত। তার দিদিমা যে রামায়ণ মহাভারতের গন্ন করেন, সে সব ঘটনা সেই দেশেই ঘটে, রাম-রাবণের যুদ্ধ সেখানে এখনও চলছে, সে দেশের সীমাহীন গহন বনের মধ্যে গালাকাটা কবন্ধ রাক্ষস এখনও অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াচ্ছে, যত অসম্ভব। আর আজগুবি জিনিসের দেশ যেন সেটা ! কিন্তু সে সব অনেক দিনকার কথা। বড় হয়ে উঠে লোকনাথ অত্যন্ত BDBiDDD D BDDuDu BBDB BDB BDB DDD S SDDD BBD BDD BLBY সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলবার জন্যেই যেন তঁার আকৃতি দিন দিন লালিত্যহীন হয়ে উঠতে লাগল। যখন তার প্রকাণ্ড মাথাটার অসংযত দীর্ঘ চুলের গোছা। আর দীর্ঘ রুক্ষ দাড়ি বাতাসে উড়ত তখন সত্যই তেঁাকে অত্যন্ত ভয়ানক বলে মনে হত। তীক্ষ্ম ইস্পাতের মতন এক অস্বাচ্ছন্দ্যকর দীপ্ত নীল আভা তার চোখে খেলতে দেখা যেত, কিন্তু এক এক সময় আবার সে দীপ্তি শান্ত হয়ে আসত, তঁাকে খুব সৌম্য, খুব সুদৰ্শন, খুব উদার ব’লে মনে হত । বয়স বাড়বার সঙ্গে সঙ্গে লোকনাথের বাল্যের সে সুদূর-পিয়াসী মন ধীরে ধীরে আত্মপ্রকাশ করতে লাগল। ত্রিশ বৎসর বয়স পূর্ণ হবার পূর্বেই দৃশ্যমান জগৎটা একটা প্রশ্নের রূপ নিয়ে তঁার চোখের সামনে উপস্থিত হ’ল। জগতের সৃষ্টিকৰ্ত্তা কেউ আছে কি না। এই আজগুবি প্রশ্ন নিয়ে লোকনাথ মহা দুশ্চিন্তাগ্ৰস্ত ও ব্যতিব্যস্ত অবস্থায় কালান্তিপাত করতে লাগলেন। তঁার জীবনের লক্ষ্যও ছিল আজগুবি ধরণের। সাংসারিক সুখ সুবিধা লাভের প্ৰচেষ্টাকে তিনি পূর্ব হ’তেই অবজ্ঞার চোখে দেখতেন, যশোলাভ বিষয়েও তিনি হয়ে উঠলেন সম্পূর্ণ উদাসীন। একবার মঠের আচাৰ্য্যের কাছে মগধ থেকে পত্র এল-মঠের অতীশদের মধ্যে আচাৰ্য্য র্যাকে উপযুক্ত মনে করবেন, তঁাকে হস্তীর পৃষ্ঠে ক’রে সসম্মানে রাজধানীতে নিয়ে আসা হবে। রাজসভার সুরিপদতিলক মহাচাৰ্য জীবনস্মরির সম্প্রতি দেহান্তর ঘটেছে। আচাৰ্য্য একমাত্র লোকনাথকেই এ পদের উপযুক্ত ব’লে ভেবেছিলেন, কিন্তু লোকনাথ কিছুতেই মগধে যেতে রাজি না হওয়ায় পৃষ্ঠার এক সতীর্থ মগধে প্রেরিত