পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** अध-अर्भ আমি একটু গভীর ভাবে বললুম।--তা হ’লে পাজিখানা আবার যে ফেলে এলুম রাণী, সামনের মাসে দিনটিন যদি থাকে উমারাণী বললে-পাজি তে ওপরের ঘরে রয়েছে দাদা । আপনি এখন খাওয়া-দাওয়া করুন, কাল সকালে দেখলেই হবে। আশ্বস্ত হলুম। কি বলতে যাচ্ছিলুম, উমারাণী ব’লে উঠল-আপনাকে খাওয়ানোর বস্তোবস্ত করিগে, কাল থেকে পেটে ভাত যায়নি, আপনার মুখ একেবারে শুকিয়ে গিয়েছে দাদা । তার পরদিন ভোরে উঠে দেখি উমারাণী সেই ভোরে নাইতে যাবার উদ্যোগ করছে। শীত সেদিন সকালে একটু বেশী পড়েছে। উমারাণীর শরীরের দিকে চেয়ে দেখি, তার শরীরে আর কিছু নেই। রাত্রে ভাল টের পাইনি, আট বছর আগেকার সেই স্বাস্থ্যগ্ৰীসম্পন্ন মেয়েটির সঙ্গে বৰ্ত্তমানের এই নিতান্ত রোগা মেয়েটির তুলনা ক’রে আমার বুকের মধ্যে কেমন ক’রে উঠল। তাকে জিজ্ঞাসা করলুম-এত সকালে নাইতে যাবার কি দরকার রে। রাণী ? সে বললে -একটু সকাল সকাল না নেয়ে এলে কখন রান্না চড়াবা দাদা ? কাল রাত্রে তো আপনার খাওয়াই হয়নি এক রকম। আমি বললুম-ত হোক। আমাকে যে আটটার মধ্যেই খেতে হবে তার কোন মানে নেই। এত সকালে নাইতে যেতে হবে না তোর । উমরাণী ঘড়া নামিয়ে রাখল। পিসিমা বললেন-তোমার কথা, তাই শুনলে বাবা । নইলে ও কি তেমন পাগলী মেয়ে নাকি, দ্বাদশীর দিনে মাঘ মাসের ভোরে নাইতে যাবে। শোনে না, বলি, বৌমা তোমার শরীর ভাল নয়, এত সকালে জলে নেবো না। শোনে না, বলে, পিসিমা কাল গিয়েছে। আপনার একাদশী, একটু সকাল সকাল কাজ না সেরে নিলে, আপনাকে দুটো খেতে দেব কখন ? সেদিন দুপুরে ওদের ওপরের ঘরে শুয়ে শুয়ে কি বই পড়ছিলুম। উমারাণী এসে চুপ ক’রে দোরের কাছে দাড়িষে রইল। বললুম-কে, রাণী ? আয় ना 6ङङहझ ?