পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6-द्र (s থাকত, সেখানে ওসব বোধহয় তেমন মেলে না, সেই জন্যে ঐ বাজারের কচুরী নিমকির ওপর তার কেমন ছেলেমানুষের মত একটা লোভ ছিল। বৌদি করত কি, নারকেল পাতা টেচে বঁটার কাটি ক’রে রাখত, লোকে পয়সা দিয়ে তা কিনে নিয়ে যেত। এই রকম ক’রে যে পয়সা পেত, তাই দিয়ে গোপালনগরের হাট থেকে পাড়ার ছেলে-পিলেদের দিয়ে খাবার আনাত, নিজে খেত, তাদের দিত। আপনি সেবার চ'লে আসবার পর থেকে সেই পয়সায় আর খাবার না খেয়ে তাই জমিয়ে জমিয়ে ঐ রূপোর अँibiggक्ल १ हि अछिल । আমি বললুম-সে মারা গেল কোন সময়ে ? টুনি বললে-শেষ রাত্রে, প্রায় রাত চারটের সময়। রাত্রে বৌদির ভয়ানক জ্বর হ’ল, সেই জ্বরে একেবারে বেহুস হ’য়ে গেল। তার পরদিন বিকালবেলা আমি ওর বিছানার পাশে বসে আছি, দেখি বৌদি বালিশের এপাশ ও পাশ হাতড়াচ্ছে, কি যেন খুঁজছে। আমি বললুম-বৌদি লক্ষ্মীট, ও রকম করছি কেন ? তখন তার ভাল জ্ঞান নেই, যেন আচ্ছন্ন মত । বললে, আমার চিঠিগুলো কোথায় গেল, আমার সেই চিঠিগুলো ? ব’লে আবার বিছানা হাতড়াতে লাগল। দাদা বিয়ের পর প্রথম প্ৰথম যেসব চিঠি তাকে লিখেছিলেন, সে সেগুলো যত্ন ক'রে ওর বাক্সে তুলে রেখেছিল, আমি তা জানতুম। আমি সেগুলো বাক্স থেকে বের ক’রে নিয়ে এসে তার আঁচলে বেঁধে দিলুম-তখন থামে। তারপর সেই রাত্রেই সে মারা গেল। যখন তাকে বার ক’রে নিয়ে গেল। তখনও তার আঁচলে সেই চিঠিগুলো বাধা । আমি জিজ্ঞাসা করলুম-সুরেন সে সময় ছিল না ? টুনি বললে--ছোড়দাকে টেলিগ্রাম করা হয়েছিল, তিনি যখন এসে পেঁৗছলেন, তখন বৌদিকে দাহ করা হয়ে গিয়েছে।-- অনেক বছর হয়ে গিয়েছে। এখনও শীতের অবসানে যখন আবার বাতাবী-লেবুর ফুল ফোটে,