পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b মেঘ-মটীয় শেষ রাতের স্বপ্নে কর্ণপুর দেখিলেন, জ্যোৎস্না দিয়া গড়া দেহ তারই ছেলেটি আসিয়া কাছে দাড়াইয়াছে।--তঁর মৃতপুত্রের মুখটি খুব সুশ্ৰী ছিল, অকাবুও তাহার মুখের যেখানে ষাদা কিছু ছোট-খাটো খুৎ ছিল, সেই সুন্দর অতি-প্রিয় খুঁৎগুলি ঠিক সেই ভাবেই আছে। বাম ভুরুর উপরে শান্তশিষ্টতার YSBBD sBBD BDS DBDD DBD DDDSBD BBDB KDBBDBD DDD S আস্তে আস্তে সে তার কানের কাছে মুখ লইয়া গিয়া চুপিচুপি ডাক দিলবাবা। --অনেকদিন-হারা-পুত্রকে ক্ষুধাৰ্ত্ত ব্যগ্ৰ দুই হাতে জড়াইয়া ধরিতে গিয়া কৰ্ণপুরের ঘুম ভাঙিয়া গেল। দেখিলেন সকাল তো হইয়াছেই, তালধনের মাথায় রৌদ্রও উঠিয়া গিয়াছে। সকালে উঠিয়া তিনি পুনরায় পথ চলিতে সুরু করিলেন। পথে কন্দুেকখানা গ্রাম পাইলেও কোথাও বিলম্ব করিলেন না । সারাদিন পথ চলিবার পরে সন্ধ্যার কিছু পূর্বে দূর হইতে একটি ছোটখাটো গ্রাম দেখা গেল। অত্যন্ত ক্লান্ত অবস্থায় সম্মুখে লোকালয় দেখিয়া কৰ্ণপুরের মনে বড় স্বস্তিবোধ হইল। আশ্রয় স্থান সন্ধানে তিনি গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করিলেন। গ্রামপ্রান্তের প্রথম দুই-চারিখানা বাড়ী ছাড়াইয়া গ্রামের ভিতর অল্প দূর অগ্রসর হইতে হইতেই গ্রামের দৃশ্য যেন কৰ্ণপুরের কাছে কেমন কেমন ঠেকিল। কোন গৃহস্থ-বাড়ীতেই কোন সাড়া শব্দ নাই, কোন বাড়ী হইতেই রন্ধনের ধূম উঠিতেছে না, পথে পথিকের যাতায়াত নাই, জনপ্রাণী কোন দিকে চোখে পড়ে না। অধিকাংশ গৃহস্থবাটীরই বাহির দরজা খোলা-খোলা দরজা দিয়া চাহিলে বাটীর ভিতর একখানা কাপড় পৰ্য্যন্ত দেখা যায় না। কিন্তু আশ্চৰ্য্য বোধ হইলেও সারাদিনের পথশ্রমে কর্ণপুর এত ক্লান্ত হইয়াছিলেন যে-অতশত ভাবিবার, বুঝিবার বা ব্যাপার কি অনুসন্ধান করিবার অবস্থা তঁহার ছিল না। তিনি সম্মুখে এক গৃহস্থ বাটীর বাহিরের ঘরে গিয়া উঠিলেন ও মোট পুটুলি নামাইয়া বিশ্রামে প্ৰবৃত্ত হইলেন।--দণ্ড-দুই কাটিয়া গেল। অথচ বাড়ীয় ভিতর হইতে কোন মনুষ্য-কণ্ঠ ধ্বনি তঁাহার কৰ্ণে আসিল না। সম্মুখেয় পথ দিয়া এই দুই দণ্ডের মধ্যে মানুষ তো দূরের কথা, একটি গৃহপালিত পশুকে পৰ্য্যন্ত যাইতে দেখিলেন না। ততক্ষণে তিনি অনেকটা