পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘ-মল্লার هي ফেলিল ?--ধৰ্ম্মভীরু সরল-স্বভাব কর্ণপুর বালকের এসব ব্যাপারে মনে মনে DBBDD DBBDBD DDD S SDBDBDDB DBBDS DD DBBB DDD DBDD DBDD DDBD হইয়া পড়েন। বালস্বভাব-সুলভ চািপলত বলিয়া উড়াইয়া দিতে গিয়াও মনে মনে অস্বস্তি বোধ করেন ; ভাবেন—উঠন্ত মূল পত্তনেই চেনা যায়-কোন বংশের ছেলে ঘরে অ্যাসিল, কি জানি গতিক কি দাড়াইবে ? অন্য সময় বসিয়া বসিয়া ভাবেন, তঁাহার অবৰ্ত্তমানে বালকের ভরণপোষণের কি হইবে ? যদি মানুষ করিয়া দিয়াও মারা যান, তাহা হইলেণ্ড একটা এমন ব্যবস্থা করিয়া যাইতে চাহেন-যাহাতে তাহার। ভবিষ্যতে সাংসারিক কষ্ট না ঘটে। কোন জমির কি ব্যবস্থা করিবেন, কুসীদ ব্যবসায় করিলে কিরূপ উপাৰ্জন হইতে পারে ইত্যাদি চিন্তায় কর্ণপুর ব্যস্ত থাকেন। এক-এক সময় হঠাৎ যেন আত্ম-বিস্মৃতি ঘটিয়া যায়। বিষয় চিন্তা ! মনে মনে ভাবেন। এ সব কি আসিয়া জুটিল ? সারাদিনে একদণ্ড ইষ্ট চিন্তা করিতে পাই না, প্রৌঢ় বয়সে এ দুৰ্দৈব মন্দ নয়। প্রতিবেশী রঘুনাথ ভট্টাচাৰ্য্য অভিযোগ করিলেন, কর্ণপুরের পালিতপুত্র তাহার বাড়ীর মযনাপাখির খাচা খুলিয়া পাখি উড়াইয়া দিয়াছে। বালক বাড়ী আসিলে কর্ণপুর জিজ্ঞাসা করিলেন-নীলু, শুনছি। তুমি নাকি ওদের পাখি উড়িয়ে দিয়ে এসেছ ? বালক বলিল-না। বাবা-অামি না, • • একে অপরাধ লঘু নহে, তাহার উপর তাহার মনে হইল এ মিথ্যা কথা বলিতেছে। কর্ণপুরের ধৈয্যচু্যতি হইল। তাহাকে খুব প্ৰহার করিলেন। তাহার বাবা তাহাকে মারিবেন বালক ইহা ভাবে নাই-কারণ বাবার হাতে কখনো সে মার খায় নাই। তাহার চোখের সে বিস্ময় ও ভয়ের দৃষ্টি উপেক্ষা করিয়া কৰ্ণপুর তাহাকে হাত ধরিয়া দরজার কাছে লইয়া গিয়া বলিলেন -যাও, বাড়ী থেকে বেরোও-দুর হও-মিথ্যা কথা যে বলে তার স্থান নেই আমার বাড়ী বালকের ভরসা-হারা দৃষ্টি ভঁাহাকে তীক্ষ্ম তীরের মত বিধিল, কিন্তু তিনি দৃঢ়হন্তে দরজা বন্ধ করিয়া দিলেন।