পাতা:মেজ বউ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম পরিচ্ছেদ । Difupi ‘শালার", দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেছেন, যদি প্রমদার প্রফুল্ল নেত্র র্তাহার, নেত্রীগোচর হয় ; এক একবার মন উৎসুক হইয়া প্ৰমদাকে ধরিয়া মানিতে চাহিতেছে। মনটা যেন বলিতেছে, কি অবিচার! স্ত্রীলোক এমন নিৰ্ব্বোধও হয়। বুঝিতেছেন না যে, সে বিলম্ব নিৰ্ব্বদ্ধিতা নিবন্ধৰ্ম নহে বরং বুদ্ধির আতিশয্য নিবন্ধন, তাহা চিত্তের আগ্ৰহাতিশষ্য গোপনের ছিল মাত্ৰ । ওদিকে প্রমদা জ্যেষ্ঠ বন্ধু হর সুন্দরীকে আহারের জন্য সাধাসাধি করিতেছেন ; এবং দুরন্ত শিশু গোপালকে দুগ্ধ পান করাইবার জন্য নানা প্রকারে ভুলাইতেছেন। কত্রী ঠাকুরাণী হরসুন্দরীকে দেখিতে পারেন না। মুণ্ঠ সন্ধ্যার সময় সামান্য কারণে তাঁহাকে কতকগুলি অৰ্ভদ্রোচিত কটুক্তি করিয়াছেন, তাই হরসুন্দরী ধরাশয্যায় অঙ্গ ঢলিয়া মানিনী হইয়া আছেন। প্রমদা সাধাসাধি করিতেছেন এবং কত্রী ঠাকুরাণী কতক্ষণ ঘরের মধ্যে যান, তাহার প্রতীক্ষা করিতেছেন; তাহার সম্মুখ দিয়া স্বামীর নিকটে যাইতে সাহস হয় না। যেই কত্রী ঘরের ভিতর একটী পা দিয়াছেন, আমনি প্রমদা একটা প্ৰদীপ লইয়া অৰ্দ্ধাবগুণ্ঠনে মুখচন্দ্ৰ অৰ্দ্ধবৃত করিয়া শয়নগৃহাভিমুখে ধাবমান। গৃহের দ্বারে উপস্থিত হইয়াই অবগুণ্ঠন উত্তোলন পূর্বক শ্ৰীতি-বিকসিতা বিশাল নয়নে প্ৰবােধচন্দ্রের দিকে চাহিলেন ; দুই জনের চক্ষে চক্ষে মিলিল এবং এক সময়েই দুই মুখে হাস্য ধরিল না। ইহা কিরূপ অভ্য সুচক পদাবলী ইহার মধ্যে নাই, কিন্তু সেই হাস্যরাশি যে গভীর ভাব-” রাশির উচ্ছসিত তরঙ্গ মাত্র, তাহার মূল্য কে নির্ণয় করিতে পারে! : প্ৰবােধচন্দ্র প্রমদাকে নিজ পার্শ্বস্থ আসনে বসাইয়া বলিলেন, “আজ । আমি এসেছি বলেই বুঝি ঘরে আসতে বিলম্ব হচ্ছিল ?”