* *ift571 R এবং দক্ষিণ হস্তে মৃদু মৃদু ব্যজন সঞ্চালনা করিতেছেন। পরেশ মন্তকে মৃদু মৃদু “জলের প্রলেপ দিতেছেন!! কর্তমহাশয়ের ন্যায় বীর ও সহিষ্ণু ব্যক্তি আমুরা দেখি নাই। অন্য লোক হইলে এইরূপ গভীর ও অসহ বেদনায় উন্মত্ত-গ্ৰায় হইয়া উঠিত, কিন্তু তিনি আশ্চৰ্য্য সহিষ্ণুতার সহিত তাহা সহ্যু করিতেছেন। তঁহার চৈতন্য প্ৰভাতের স্বপ্নের ন্যায় এবং অনুতাপ-দগ্ধ পাতকীয় প্ৰতিজ্ঞার ন্যায় এক একবার বিলীন হইয়া যাইতেছে, আবার দেন চমকিয়া জাগিয়া উঠিতেছে। একবার জ্ঞানের উদয় হওয়াতে তিনি গ্ৰনদীর মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন। প্রমদার মুখ আর অবগুণ্ঠনাকৃত নয় ; কলিকাতাতে আসা অবধি তিনি আর কর্ডার পুত্রবধু নৃত্যু, কন্যার অধিক হইয়াছেন। তঁহার নিকট কৰ্ত্তার লজ্জা নাই, কার্ডার নিকটও তেঁহার লজ্জা নাই। তিনি কাপড় পরাইতেছেন, তিনি আহ্বান দিতেছেন, তিনি পাশ ফিরাইতেছেন, তিনি ব্যজন করিতেছেন, তিনি গাঁয় হাত বুলাইতেছেন। গ্ৰবোধ পরেশ ও বামা আছেন সত্য কথা, কিন্তু প্রমদা নিকটে থাকিলে যেন কার্তা অনেক ভাল থাকেন, চেতনা হইলেই “মা মা” করিয়া ডাকিতে থাকেন ; সুতরাং মায়েন্ত্র আর তাঁহার ঘর ছাড়িবার যো নাই। পাক শাক করিবার সময় প্ৰবোধচন্দ্ৰ প্ৰভৃতি বসিয়া থাকেন, তথাপি বার বার আসিয়া দেখা দিয়া যাইতে হয়। আমাদের প্রমদা ও রাত্ৰিজাগরণ, চিন্তা ও পরিশ্রমে আর এক আকার ধারণ করিয়াছেন। তিনি তিন সপ্তাহ চুল বঁধেন নাই, দুই তিন দিন স্নান আহার ভাল করিয়া করেন নাই। বসন মলিন, মুখ বিষন্ন, ভঁাহার প্রসন্ন পবিত্ৰ কান্তির উপর চিন্তা ও বিষাদের আভা পড়িয়া এক প্রকার সুন্দর ভাব হইয়াছে। তঁহাকে যেন দ্বিগুণ সুন্দর দেখাইতেছে। পরের সেবাতে যে শরীর কালি হয়, সে কালি যে
