পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=ఫెB মেদিনীপুরের ইতিহাস । মেদিনীপুর জেলার উত্তর সীমান্তে অবস্থিত ; এক্ষণে উহা হুগলী জেলার অন্তর্গত। কোটাটবীর পরে দণ্ডভুক্তি এবং তৎপরে অপার মান্দার ; রামচরিতেও তাম্রলিপ্তাধিপতির নাম নাই। ইহাও আমাদের পূৰ্ব্বোক্ত অনুমানের সাপক্ষে আর একটি প্রমাণ। তবে লক্ষ্মী"কে সামস্তচক্রের প্রধান বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। তাম্রলিপ্তাধিপতি সেই সামন্তচক্রের অন্যতম হইলেও হইতে পারেন। রাজেন্দ্র চোলের শিলালিপিতে এই জন্যই হয় ত পৃথগভাবে তাম্রলিপ্ত-জয়ের কথা নাই । দক্ষিণ-রাঢ়ের অধিপতিকে পরাজয় করায় তাহার সে কার্য সিদ্ধ হইয়াছিল । অপার-মান্দার বা মান্দারণই এক সময়ে দক্ষিণুরাঢ়ের রাজধানী ছিল বলিয়া অনুমিত হয়। আইন-ই-আকবরীর রাজস্ববিভাগেও দেখা যায় যে, তৎকালেও দক্ষিণ-রাঢ়ের অধিকাংশ সরকার মাদারণের অন্তর্ভূত ছিল এবং এই জেলার অন্তর্গত চিতুয়া, চন্দ্রকোণ, বরদা প্রভূতি পরগণা এবং বর্তমান তমলুক মহকুমার অন্তর্গত মহিষাদল পরগণাও ঐ সরকারের অস্তভূত ছিল । * সম্ভবতঃ দক্ষিণরাঢ়ের অধিপতি রণশ্বর ও অপার-মান্দারের লক্ষ্মীশ্বর একই বংশসস্তৃত ছিলেন। বাঙ্গালা দেশে শূর উপাধিধারী রাজবংশের অস্তিত্ব সম্বন্ধে ভূয়সী। জনশ্রুতি আছে। বঙ্গদেশে আবিষ্কৃত কুলগ্রন্থ-সমূহের আলোচনা করিয়া শ্ৰীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ, খ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু-প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, এক সময়ে শূর উপাধিধারী রাজবংশ গৌড়-বঙ্গের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। { কিন্তু ঐতিহাসিক রাখাল বাবু লিখিয়াছেন, মে জাতীয় প্রমাণ বিজ্ঞানসন্মত প্রণালীতে

  • Hunter's Statistical Account of Bengal, Vol, I. p. 369. + গৌড়রাজমালা—রমাপ্রসাদ চন্ম । বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস- রাজন্তকাগু)-নগেন্দ্রনাথ বসু ।