পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুসলমান অধিকার—পাঠান-রাজত্ব। >&3 দের পার্শ্বচরকুপে অবস্থিতি করিতেন। এই জন্য কতলু খাঁর সহিত তাহার প্রগাঢ় বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়। ঈশা খাঁ (লোহানী ) কতলুর স্ববংশীয় এবং র্তাহার অনুচর ছিলেন ; সুতরাং তাহার সহিত যে বসন্তু রায়ের বিশেষরূপ বন্ধুত্ব স্থাপিত হইয়াছিল, ইহা অনায়াসে অকুমান করা যাইতে পারে।” * নিখিল বাবু ইহা ‘অনায়াসে অনুমান করিলেও আমরা উহ। ‘অনায়াসে । গ্রহণ করিতে পারি না। কতলুর সহিত বিক্রমাদিত্যের প্রগাঢ়’ হউক বা না হউক, বন্ধুত্ব থাকিতে পারে ; কিন্তু ঈশা খাঁ কতলুর স্ববংশীয় এবং তাহার 'অনুচর ছিলেন, সুতরাং বিক্রমাদিত্যের ভ্রাতার সহিত যে তাহার বিশেষরূপ বন্ধুত্ব স্থাপিত হইবে, এমন কি কারণ আছে ? বরঞ্চ বসন্ত , রায়ের রাজ্যের পাশ্বেই হিজলীর মসনদ-ইআলী-বংশের অধিকার ছিল এবং গৌড়েশ্বর দায়ুদের অনুগ্রহ লাভ করিয়া বিক্রমাদিত্য ও বসন্ত রায় যে বৎসর ( ১৫৭৪ খৃঃ ) যশোহররাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন, সেই বৎসরই হিজলীর ঈশা খাকেও স্বায় রাজ্যে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হইতে দেখিয়া ইহাই মনে হয় না কি যে, ঐ সময়েই কোন কারণে এই দুই বংশের মধ্যে ঘনিষ্ঠত হইবার সুযোগ ঘটিয়াছিল ? নিখিল বাবুর গ্রন্থেই দেখা বায় যে, যশোহর-রাজ্য প্রতাপ ও বসন্ত রায়ের মধ্যে দশ আনা ও ছয় আনা ভাগে বিভক্ত হইলে রাজ্যের পূৰ্ব্বদিক প্রতাপের এবং পশ্চিমদিক্‌ বসন্ত রায়ের অংশে পড়িয়াছিল। ভাগীরথীর তীরবর্তী ও নিকটবৰ্ত্তী কালীঘাট, বড়িশা, বেহালা, ডায়মণ্ডহারবার, সাহাজাদপুর প্রভৃতি স্থান বসন্ত রায়ের রাজ্যভুক্ত ছিল। ঐ স্থানের নিকটেই, , নদীর অপর পারেই হিজলী-রাজ্য। পাশ্ববৰ্ত্তী এই দুইটি রাজার পরস্পরের বিশেষ বন্ধুত্ব থাকাই সম্ভব। আর একটি কথা । হিজলীর মসৃজীদের সেবকদিগের নিকট

  • প্রতাপাদিত্য (পরিষদ গ্রন্থাবলী ), পৃ: ১২৪ । ,