পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুসলমান-অধিকার—পাঠান-রাজত্ব। *No. মৃত্যুর পরই পুত্রের পারলৌকিক মঙ্গলকামনা করিয়া মন্দির-স্থাপয়িতা বিভীষণ মহাপাত্ৰ দেউলবাড় গ্রামস্থ মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবতাগণকে গুরুর হন্তে অর্পণ করিয়াছিলেন। বলভদ্রের পরে তাহার ভ্রাতা সদাশিব হিজলীর অধিকারী হইয়াছিলেন। রসিকানন্দের বিবাহের সমসময়েই বলভদ্রের মৃত্যু হইয়াছিল। রসিকমঙ্গলে দেখা যায়, জ্যেষ্ঠাতা বলಶ್ಗ ভদ্র দাস হিজলীর ‘মণ্ডল অধিকারী’ নামে পরিচিত থাকিলেও, তাহার জীবিতকালে উভয় ত্ৰাতায় মিলিত হইয়াই হিজলী শাসন করিতেন। দুই ভ্ৰাতায় বিশেষ সম্প্রীতি ছিল। সদাশিব কত দিন রাজত্ব করিয়াছিলেন, জানা যায় নাই। সম্ভবতঃ ইহার পরেই যিনি হিজলীর রাজ্যাধিকার পাইয়াছিলেন, তাহার সময়েই হিজলী-রাজ্য ঐ বংশের হস্তচু্যত হইয়া যায়। তৎপরে হিজল্প-রাজ্য কয়েকটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমিদারীতে বিভক্ত হয়। তন্মধ্যে মাজনামুঠ ও জলামুঠ জমিদারী দুইটিই বৃহৎ। ক্রোমেলীন সাহেবের লিখিত বিবরণে অন্যরূপ কথা আছে। তিনি লিখিয়াছেন যে, বাহাদুর খাঁর মৃত্যুর পরেই হিজলী-রাজ্য যে দুই জন হিন্দু কৰ্ম্মচারীর হস্তগত হইয়াছিল, তাহারাই পরবর্তিকালের মাজনামুঠ ও জলামুঠ জমিদারীর প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। কিন্তু এই দুই হিন্দু কৰ্ম্মচারীর পরিচয়স্থলে তিনি দুই স্থানে দুই রকম কথার উল্লেখ করিয়াছেন। পরবর্ভিকালের ইংরাজ লেখকগণের বিবরণেও সেই অসামঞ্জস্ত রহিয়া গিয়াছে । ওম্যালী সাহেব হিজলীর বিবরণে মাজনামুঠ ও জলামুঠ জমিদারীর প্রতিষ্ঠাতা ঐ দুই কৰ্ম্মচারীর পরিচয় দিয়া বলিয়াছেন যে, র্তাহাদের একজন বাহাদুর র্থার দেওয়ান ও অন্তর্জন তাহার সর্দার 22