অভিহিত করিয়া থাকিবেন। রেনেল সাহেবই সর্ব্বপ্রথম তাঁহার মানচিত্রে ইহাকে রূপনারায়ণ নামে উল্লেখ করিয়াছেন। প্রাচীন নাবিকগণ এই নদীকে ভ্রমক্রমে “পুরাতন-গঙ্গা” নামে উল্লেখ করিয়াছিলেন, একথাও তিনি বলিয়া গিয়াছেন।[১]
ডিব্যারোর ও গাশতল্ডির মানচিত্রে দেখা যায় যে, তৎকালে রূপনারায়ণ নদী দুইটি প্রশস্ত শাখায় বিভক্ত হইয়া ভাগীরথীর সহিত মিলিত হইয়াছিল। ঐ দুইটি শাখার মধ্যবর্ত্তী ভূমিখণ্ড একটি দ্বীপের ন্যায় পরিলক্ষিত হয়। পরবর্ত্তিকালে অঙ্কিত ভ্যালেন্টীন ও বাউরীর মানচিত্রে পশ্চিম-দক্ষিণের শাখাটির অস্তিত্ব নাই। কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীর রেনেলের মানচিত্রে তমলুক হইতে টেঙ্গরাখালী পর্য্যন্ত একটি ক্ষুদ্র স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হইত দেখা যায়। ভ্যালেন্টীনের মানচিত্রে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নদীগুলি চিত্রিত হয় নাই। বর্ত্তমান হল্দী নদী এই টেঙ্গরাখালী হইতে আরম্ভ হইয়া হুগলী নদীর সহিত মিলিত হইয়াছে। তৎকালে ইহার যে অংশটি তমলুকের নিকট হইতে টেঙ্গরাখালী পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল, পরবর্ত্তিকালে উহা বিলুপ্ত হইয়া যাওয়ায় পূর্ব্বোক্ত দ্বীপটি মেদিনীপুর জেলার ভূমিখণ্ডের সহিত মিলিত হইয়া গিয়াছে। ঐ দ্বীপটি এখনকার সুতাহাটা ও মহিষাদল থানা।[২]
সুতাহাটা ও মহিষাদল থানার ন্যায় খাজুরী থানারও নৈসর্গিক সীমার অনেক পরিবর্ত্তন হইয়াছে। ডিব্যারোর ষোড়শ শতাব্দীর মানচিত্রে ভাগীরথীর মোহানায় একটি নূতন দ্বীপ গঠিত হইতেছিল দেখা যায়। সপ্তদশ শতাব্দীর ভ্যালেন্টীনের মানচিত্রে সেই স্থানে—একটির দক্ষিণে আর একটি—দুইটি দ্বীপ অঙ্কিত আছে। এই দুইটি