কাজীরে দেখিয়া বুড়ি কোন কাম করে।
কাঠালের পিড়ি দিল বৈসনের তরে॥
“কিসের লাগ্যা আইছুইন[১] আইজ দুয়ারে আমার।
কোন জন্মের ভাগ্যি মোর নাহি জানি তার॥”
কাজী কয় “কুটুনিলো তরে দিবাম সোনা।
করিবা আমার কাজ হইয়া সামিনা[২]॥
সাতখুন মাপ তোমার আমার বিচারে।
এই কাম করলে তোমার কপাল যাইব ফিরে॥
যেমন কইরা আমার ঘোড়া বনে ছোটা খায়।
তেমন কইরা বেড়াইবা না গঠিব[৩] দায়॥
ছনেতে বান্ধিয়। দিব তোমার ঘরখানি।
ধনদৌলত যোগাইবাম যাহা লাগে আমি॥
পর গেরামেতে যাইতে পন্থে আনাগুনি।[৪]
জলের ঘাটে দেখলাম এক সুন্দর কামিনী॥
পরিচয়-কথা তার শুন দিয়া মন।
চান্দ বিনোদ সে যে আমার দুষমন॥
দেশেতে ভমরা নাই কি করি উপায়।
গোলাপের মধু তায় গোবরিয়া[৫] খায়॥
ছুতানাতা ধইরা তুমি যাও তার বাড়ী।
একলা পাইবা যখন সেই ত সুন্দরী॥
আমার মনের কথা কইও তার আগে।
ধনদৌলত তার সুবিস্তর লাগে[৬]॥
তারায় গাথিয়া তার দিয়াম গলার মালা।
দেখিয়া তাহার রূপ হইয়াছি পাগলা॥
- ↑ আইছুইন=আসিয়াছেন।
- ↑ সামিনা=সাবধান।
- ↑ গঠিব=ঘটিবে।
- ↑ পর—আনাগুনি=ভিন্ন গ্রামে যাইবার জন্য আমি পথে চলাফেরা করিতেছিলাম।
- ↑ গোবরিয়া=গোবরা পোকা (“কে শিখাল তোরে এই বিদ্যে, গোবরা পোকা হয়ে বসিলি পদ্মে, থাক্ থাক্, থাক্, হয়ে দাঁড়কাক, ঠোকর দিলি শিবলৈবিদ্যে।” গোপাল উড়ে)।
- ↑ সুবিস্তর লাগে=তার জন্য খুব ভাল করিয়া ব্যবস্থা করিব।