( ৬ )
নীরবে হৃদয়-দান
বাড়ীর আগে ফুট্যা রইছে চম্পা-নাগেশ্বর।
পুষ্প তুলিতে কন্যা আইল একেশ্বর॥
“তোমারে দেখিব আমি নয়ন ভরিয়া।
তোমারে লইব আমি হৃদয়ে তুলিয়া॥
বাড়ীর আগে ফুট্যা আছে মালতী-বকুল।
আঞ্চল ভরিয়া তুলব তোমার মালার ফুল॥
বাড়ীর আগে ফুট্যা রইছে রক্তজবা-সারি।
তোমারে করিব পূজা প্রাণে আশা করি॥
বাড়ীর আগে ফুট্যা রইছে মল্লিকা-মালতী।
জন্মে জন্মে পাই যেন তোমার মতন পতি॥
বাড়ীর আগে ফুট্যা রইছে কেতকী-দুস্তর[১]।
কি জানি লেখ্যাছে বিধি কপালে আমার॥”
এইরূপে কান্দে কন্যা নিরালা বসিয়া।
মন দিয়া শুন কথা চন্দ্রাবতীর বিয়া॥ ১—১৪
( ৭ )
বিবাহের প্রস্তাব ও সম্মতি
একদিন ত না[২] ঘটক আইল ভট্টাচার্য্যের বাড়ী।
“তোমার ঘরে আছে কন্যা পরমা সুন্দরী॥
কুলে শীলে তুমি ঠাকুর চন্দ্রের সমান।
না দেখি এমন বংশ এথায় বিদ্যমান॥
বয়স হইল কন্যা রূপে বিদ্যাধরী।
ভাল করে দেও বিয়া ঘটকালি করি॥”
“কেবা বন্ধু কিবা ঘর কহ বিবরণ।
পছন্দ হইলে দিব মনের মতন॥”