অনাচার কেল জামাই অতি দুরাচার।
যবনী করিয়া বিয়া জাতি কৈল মার॥”
শিরেতে পড়িল বাজ মঠের মাথায় ফোড়[১]।
পুরীর যত বাদ্যভাণ্ড সব হৈল দূর॥
ধুলায় বসিল ঠাকুর শিরে দিয়ে হাত।
বিনামেঘে হইল যেন শিরে বজ্রাঘাত॥১—২০
( ১১ )
চন্দ্রার অবস্থা
“কি কর লো চন্দ্রাবতী ঘরেতে বসিয়া।”
সখিগণ কয় কথা নিকটে আসিয়া॥
শিরে হাত দিয়া সবে, জুড়য়ে কান্দন।
শুনিয়া হইল চন্দ্রা পাথর যেমন॥
ন। কান্দে না হাসে চন্দ্রা নাহি বলে বাণী।
আছিল সুন্দরী কন্যা হইল পাষাণী॥
মনেতে ঢাকিয়া রাখে মনের আগুনে।
জানিতে না দেয় কন্যা জল্যা মরে মনে॥
এক দিন দুই দিন তিন দিন যায়।
পাতেতে রাখিয়া কন্যা কিছু নাহি খায়॥
রাত্রিকালে শর-শয্যা বহে চক্ষের পানি।
বালিস ভিজিয়া ভিজে নেতের বিছানি॥
শৈশবের যত কথা আর ফুলতুলা।
নদীর কূলেতে গিয়ে করে জলখেলা॥
সেই হাসি সেই কথা সদা পড়ে মনে।
ঘুমাইলে দেখিব কন্যা তাহারে স্বপনে॥
নয়নে না আসে নিদ্রা অঘুমে রজনী।
ভোর হইতে উঠে কন্যা যেমন পাগলিনী॥
বাপেত বুঝিল তবে কন্যার মনের কথা।
কন্যার লাগিয়া বাপের হইল মমতা॥
- ↑ মঠের মাথার ফোড়=মন্দিরের উচ্চশিরে ফোঁড় (ছিদ্র) হইল।