এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩১
কমলা
লনীতে ফেনাইয়া উঠে বদ গন্ধ ভারী।
রাজ্যি হইতে খেদাইব দিয়া বেড়াবাড়ী[১]॥”
গোয়ালিনী কয় “ইহা বয়সের দোষ।
এই দই খাইয়া তুমি হইতা পরিতোষ॥
আগের যৌবন যদি থাকিত আমার।
এই দই খাইয়া তুমি করিতে বাহার॥
এক সের দইয়ে দিছি সাত সের পানি।
তবু লোকে ডাকিয়াছে[২] চিকন গোয়ালিনী॥
চোকা দই খাইয়া লোকে কহিয়াছে মিঠা।
যৌবন হারাইয়া কন্যা হইয়াছে লেঠা॥
কাছলা[৩]-ভরা সাচ্চা দই পাতিল-ভরা সর।
আমার দই খাইয়া লোকে হইয়াছে অমর॥
বুড়ির দই কিন্যা মোরে কাহন দিছে লোকে।[৪]
কত লোক ভাস্যা গেছে আমার দইয়ের পাকে॥
মৌমাছির চাক যেমন আছিলাম আমি।
দিনরাতি কানের কাছে মাছির ভনভনি॥
অখন বয়স গেছে নদী ভাটীয়াল।
পাকা দই চোকা হয় এমন জঞ্জাল॥
সদ্য করি ননী উঠাই হদ্য যে হইয়া[৫]।
তবু লোকে ঘেন্না করে সেই ননী খাইয়া॥
দধি না বেচিব আর ছাড়িব বেসাতি[৬]।
শেষ কালে কিষ্ট মোর যা করেন গতি॥”