গাঙ্গের পারে কেওরা ফুল ফুট্যা রইছে ডালে।
দুষ্কের কথা কইও মোর বন্ধুর লাগাল পাইলে॥
সাক্ষী হইয়ো নদী নালা আর পশুপংখী।
আভাগী[১] সুনাইরে দিল কাল বিধাতা ফাঁকি॥
সত্যযুগের বায়ু সাক্ষী আরত সাক্ষী নাই।
বন্ধুর আগে কইও তোমার মইরাছে সুনাই।
কি করিলাম দুষ্কের কপাল কেন বা আইলাম জলে।
সেই কারণে যজ্ঞের ঘির্ত[২] খাইল চণ্ডালে॥
আগে যদি জানতাম দুষ্কুরে এই ছিল কপালে।
কাঙ্খের কলসী গলাত[৩] বান্ধ্যা ডুব্যা মরতাম জলে॥”
“আসিব বলিয়া বন্ধু না আসিল কেরে[৪]।
না জানি পরাণের বন্ধু পড়িল কি ফেরে॥
না আইল না আইল বন্ধু ক্ষতি নাই সে তাতে।
না জানি বিপদে বন্ধু পড়িল কি পথে॥
বিষম নদীর ঢেউরে অলছতলছ[৫] পানি।
কি জানি পন্থেতে বন্ধুর ডুবছে নাও[৬] খানি॥
উইড়া যাওরে বনের পাংখী খবর দিও তারে।
তোমার সুনাই লইয়া যায় দেওয়ান ভাবনার ঘরে॥
সুন্দর দেখিয়া ভাবনায় লইয়া যায়রে।
লইয়া যায় লইয়া যায় লইয়া যায়রে॥”