হালুয়ার[১] পুত্ত্রগণ ডাকাত এমন।
আদেখা থাকিয়া বনে করয়ে ভ্রমণ॥
পথিক পাইলে পরে গো সকলে ধরিয়া।
তিন খণ্ড করে আগে খাণ্ডার[২] বাড়ী দিয়া॥
পয়সা কড়ি যাহা পায় সকলি লইয়া।
খাগড়া বনেতে পরে রাখে লুকাইয়া॥
ডাকাতি করিয়া হইল দৌলত এমন।
তবু না ছাড়য়ে পাপ অভ্যাস কারণ॥
থাকিয়াত কেনারাম তাদের সহিত।
অল্পেতে হইল এক মস্ত ডাকাত॥
হাত পার গোছা তার গো কলাগাছের গোড়া।
আসমানে জমীনে ঠেকে যখন হয় খাড়া॥
কৃষ্ণবর্ণ দেহ তার পর্ব্বতপ্রমাণ।
রাবণের মত হৈল অতি বলবান॥
শিশুকাল হইতে সে না জানে দেবতায়।
ভালমন্দ ভেদ নাই তার সীমানায়॥
পাপ কারে কয় নাহি জানে কেনারাম।
স্ত্রী পুত্ত্র নাহি তার নাই পয়সার কাম॥
তবুও পথিক সামনে পড়িলে তখন।
হরষ অন্তরে মারে ধনের কারণ॥
বাঘ যেমন মারে জন্তু খেলিয়া খেলিয়া।
এহি মতে মারে দুষ্ট মানুষ ধরিয়া॥
লইয়া পরের ধন লুকায় বনের মাঝে।
মাটীতে পুতিয়া রাখে না লাগায় কাজে॥
দলবল সঙ্গে কেনা বনে বনে ঘুরে।
জঙ্গলে পড়িয়া থাকে নাহি যায় ঘরে॥
পাতা:মৈমনসিংহ গীতিকা (প্রথম খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দস্যু কেনারামের পালা
১৯৭