এহি মতে দেশ যত ভ্রমিয়াহি কত শত
তাহার কথা কহিতে অপার।
দ্বিজ বংশীদাস ভণে চান্দের কৌতুক মনে
শেষে কৈল কন্যার বিচার।
দিশা:— হরি বোলারে বল হরি বল—
ভাট বলে শুন সাধু বচন আমার।
শাস্ত্র বিহিতে কহে কন্যার বিচার॥
মাতৃপক্ষে পঞ্চ গোত্র ত্যজিবেক নারী।
পিতৃপক্ষে সপ্ত গোত্র শাস্ত্র অনুসারী॥
তবে বিহা করিবে শুন সদাগর।
নিকটে করিব বিয়া ত্রিগোত্র অন্তর॥
এহি মতে করিলেক কন্যার বিচার।
“যে যে কন্যা জানি আমি শুন কহি আর॥
মেহার পাটনে রাজা প্রচণ্ডের পুত্ত্র।
জখ সেন[১] নাম তার ভরদ্বাজ গোত্র।
তাঁর কন্যা চন্দ্রকলা রূপ অতিশয়।”
চান্দ বলে “সগোত্রেতে উচিত না হয়॥”
“ভগীরখ সদাগর মথরা নগরে।
পদ্মাবতী নামে কন্যা আছে তার ঘরে॥”
চান্দ বলে “রাম রাম তার নাহি নাম।
শুনিতে উচিত নয় কানির স্বনাম[২]॥”
“ভানুপোেড়া নগরে আছে আর এক কন্যা।
ভানুরাজার ঘরে রূপে গুণে ধন্যা॥
জাতিতে পদ্মিনী কন্যা কেশ অল্প গুছি[৩]।”
চান্দ বলে “না কহিও পূর্ব্বে শুনিয়াছি॥”