“শুন শুন রাণী আরে কহি যে তোমারে।
(আরে কহি যে তোমারে)
কলিজা খাইছে মোর জলের কুম্ভীরে॥
বনের বাঘে খাইছে মোর সর্বাঙ্গ শরীর[১]।
শেলেতে বিন্ধিয়া বুক হইছে দুই চির[২]॥
কি করিলা রাণী আরে কি করিলা তুমি।
কুক্ষণে আমার কাছে লিখিনা লিখনী॥
লিখনী লইয়া গেলাম নবাব দরবারে।
লিখনী দেখিয়া মোরে জিজ্ঞাসা যে করে॥
যখন দেখিল বেটা পত্র লেখা আছে।
ভর যুবতী[৩] কন্যা বিয়ার বাকী রইছে॥
দেশে ফিরব বল্যা[৪] যখন চাহিলাম বিদায়।
আমারে কহিল বেটা ‘শুন ওহে রায়॥
শুন্যাছি তোমার কন্যা ছুরৎ জামালী[৫]।
আমার কাছে বিয়া দিয়া ভোগ ঠাকুরালী[৬]॥
খেতাব হইবে তুমি মোর ছাহেবান[৭]।
দরবারে পাইবা তুমি আমার ছেলাম॥
ঝটিতি চলিয়া যাও আপনার ঘরে।
যাবত যোগাড় আমি করি নিজপুরে॥’
জাতিনাশ ধর্ম্মনাশ বাইচ্যা[৮] কাজ নাই।
রাজত্বি ছাড়িয়া চল জঙ্গলাতে যাই॥
পর্তিজ্ঞা করিয়াছি আমি মনেতে ভাবিয়া।
‘কাইল দেখবাম যার মুখ সকালে উঠিয়া॥
পাতা:মৈমনসিংহ গীতিকা (প্রথম খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রূপবতী
২৪৫