হুক্কাতে তামুক লইয়া ছল কইরা যাইও।
মন্দির-দুয়ারে তুমি গিয়া খাড়া হইও॥”
না ভাবিল উত্তর-পশ্চিম না ভাবিল পূব।
কিসের লাগিয়া রাণী কহে এমন অপরূপ॥
শয়ন-মন্দিরে রাণী করিল গমন।
নিশিভোরে দুয়ারে দাঁড়াইল মদন॥
আজল[১] কাজল মেঘ আকাশের গায়।
পুর্ব্বদিকে লাল সূরুয উকি দিয়া চায়॥
নহবত বাদ্যি বাজে হাফারখানা ঘরে।
পালঙ্ক ছাড়িয়া রায় উঠিলা সত্বরে॥
রাণী ত খুলিয়া দিল কপাটের খিল।
মন্দির ছাড়িয়া রাজা হইল বাহির॥
নেউলিয়া[২] রাজচন্দ্র দেখিল চাহিয়া।
নফর চাহিয়া আছে হুক্কা হাতে লইয়া॥
জলচৌকি সোণার ঝাড়ি তাতে শীতল পাণি।
হাতমুখ ধুইল রাজা শীতল পরাণি॥
মদনে ডাকিয়া রাজা জিজ্ঞাসা যে করে।
“কি কারণে আইলা তুমি আমার মন্দিরে॥”
“রাজার নফর আমি হুকুমের চাকর।
আমার যাইতে নাহি মানা বাহির আন্দর॥
বার বছর ধইরা আমি করি তাবেদারী[৩]।
এইখানে আছি আমি হইয়া শিরের পরী[৪]॥”
কোথায় বাড়ী কোথায় ঘর কেবা বাপ মাও।
পরিচয় জানতে রাজা নফরে জিগায়॥
পাতা:মৈমনসিংহ গীতিকা (প্রথম খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০১
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রূপবতী
২৪৭
* * * *