নানা স্থানে ঘুরিয়া আইলে বহু ক্লেশে।
প্রাণের ভাই কঙ্কের দেখা পাইলেনি কোন দেশে॥
বিচিত্র-মাধব শুনি লীলার বচন।
ধীরে ধীরে কহে দোহে করিয়া রোদন॥
“শুন বইন লীলাবতী আমাদের দুর্গতি
গেনু ছাড়ি আপন ভবন।
অনাহারে অনিদ্রায় অতি দুঃখে দিন বার
বহু কষ্টে করি অন্বেষণ॥
কপালের দোষে হায় নিদারুণ বিধাতায়
নাহি দিল সুদিন ফিরিয়া।
বৃথা কষ্টে কাটিলাম উদ্দেশ না পাইলাম
নিরর্থক আসিনু ঘুরিয়া॥
পরথমে আলয় ছাড়ি পূব মুখি গেনু ঘুরি
যথা হয় ছিলটের সহর।
সুর্মা গাঙ্গ্ খরসুতে[১] বহে পর্ব্বতের পথে
তালাসিনু ঘুরি ঘর ঘর॥
কামরূপ তারপরে ঘুরিয়া গেলাম ফিরে
দেখি তথায় কালীর মন্দিরে।
শনি আর মঙ্গলবারে যোরা মৈষ পাঠা পড়ে
আরও বলি দেয় কবিতরে[২]॥
পশ্চিম দিকেতে পরে গেনু নবদ্বীপ পুরে
যথা প্রভু গৌরাঙ্গ জন্মিল॥
গয়া কাশী বৃন্দাবন বন জঙ্গল চৌদ্দ ভুবন
খুঁজিলাম হইল-বিফল॥
নিরাশ হইয়া পরে আইনু ঘরেতে ফিরে
কহিলাম দুঃখ-বিবরণ।
বুঝি কঙ্ক বেচে নাই এমন হইল তাই
থাকিলে হৈত দরশন॥”