কাহারে জিজ্ঞাসে কন্যা কে দেয় উত্তর।
সত্য কি জলেতে ডুবি মৈল কঙ্কধর॥
কাহারে শুধায় কন্যা কে দেয় উত্তর।
ধূলায় পড়িয়া কান্দে কোথা কঙ্কধর॥
চাঁদ উঠে তারা উঠে কোথা কঙ্কধর।
শুধাইলে তারা নাই সে দেয় যে উত্তর॥
জিজ্ঞাসিলে চন্দ্র তারা আঁধারে লুকায়।
সর্ব্বনাশ হৈল লীলা কান্দিয়া লুটায়॥
কানে কানে কয় কেহ যেন কঙ্ক নাই।[১]
কাহারে শুধাইলে বল কঙ্কের খবর পাই॥
শুইলে সোয়াস্তি নাই নিদ্রা নাহি আইসে।
ঘুমাইলে স্বপন দেখে কঙ্ক জলে ভাসে॥
কিছু দিন এহি মতে গেলত কাটিয়া।
একদিন মাধব তবে আইল ফিরিয়া॥
মাধবের সঙ্গে কঙ্কে লীলা না দেখিয়া।
সহিস না পায় তারে জিজ্ঞাসে ডাকিয়া॥
লীলার নিকটে তবে মাধব আসিয়া।
দুঃখমনে কহে কথা নৈরাশ হইয়া॥
“শুন শুন বইন গো লীলা বলি যে তোমারে।
কত চেষ্টা করিয়া না পাইলাম কঙ্কধরে॥
কি দিব উত্তর আমি গুরুর চরণে।
দীর্ঘকাল কাটাইনু বৃথা অন্বেষণে॥”
সন্দেহ ভুঞ্জিতে[২] লীলা জিজ্ঞাসে মাধবে।
“শুনিয়াছ কিবা হৈল কিছু জনরবে॥”