দুই চক্ষের দুই সূচ দুই হাতে খুলে।
শিরেতে পাতার রস দুই চক্ষে ঢালে॥
অঙ্গ ঝাড়া দিয়া কুমার উঠিল জাগিয়া।
কাঙ্কণ দাসী কয় “কুমার! আমারে কর বিয়া॥”
এক সত্য করে কুমার চিনিতে না পারে।
“পরাণে বাঁচাইছ কন্যা বিয়া করবাম্ তোরে॥”
দুই সত্য করে কুমার দাসীরে ছইয়া[১]।
“পরাণ বাঁচাইছ[২] যদি তুমি পরাণ পিয়া[৩]॥
তিন সত্য করে কুমার ধর্ম্ম সাক্ষী করি।
“আজি হইতে হইলা তুমি আমার ঘরের নারী[৪]॥
রাজ্য ধন আছে যত লোক আর লঙ্কর।
কাননে ফালাইয়া মোরে গেল একেশ্বর॥
কির্পাতে তোমার কন্যা পরাণ যে পাই।
তোমা বিনা এ সংসারে মোর অন্য নাই॥”
(১৪)
বাপ মায়ের কথা, বংশের কথা না সুধাইয়াই একমাত্র প্রাণ-দাতা বলিয়া রাজকুমার তাকে বিয়া কর্তে প্রতিজ্ঞা কর্ল।
গান—
ঘরে আছিল ঘিরতের বাতি সদাই অগ্নি জ্বলে।
তারে ছুইয়া কুমার পরতিজ্ঞা যে করে॥
ঠিক এমন সময় ছান কইরা ভিজা কাপড়ে কাজলরেখা মন্দিরে প্রবেশ করল। ঢুইকাই[৫] দেখে যে তার স্বামী বাঁইচ্যা উঠ্ছে[৬]।
গ্রহণ ছাড়িলে যেমন চান্দেরর প্রকাশ।
কুমারে দেখিয়া কন্যা পাইল আশ্বাস॥