እ»ዓ8 মোছলেম জগতের ইতিহাস । | মস্তক উত্তোলন করেন এবং মারহাট্টাগণ ক্রমে ক্ষমতাশালী হইয়া উঠে। (১) 6) ভারতীয় ক্ষেগল সম্রাটগণের মধ্যে আওরঙ্গজেব অতিশয় বিচক্ষণ, ধার্থিক ও স্তায়পরায়ণ ছিলেন । এতগুলি গুণের একত্র সমাবেশ অস্তান্ত সম্রাটগণের মধ্যে বিরল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সাধারণ প্রচলিত ইতিহাসে তাহার গুণগুলিকে বিকৃতরূপে প্রদর্শিত হওয়ায় পাঠকের মনে স্বতঃই তাহার প্রতি ঘৃণার উদ্রেক হয়। সিংহাসন লাভের সময় যে ভ্রাতৃবিরোধ ঘটিয়াছিল, তাহার জন্ত উহাকেই দায়ী করা হয়। কিন্তু অনুধাবন করিলে প্রতীয়মান হয় যে, অওরঙ্গজেব অপেক্ষ দারা ও মুরাদ প্রভৃতিই অধিকতর দায়ী। শাহজাহা রোগাক্রান্ত হইয়া পড়িলেই দারা সিংহাসনে আসীন হইয়া চতুর্দিকে সংবাদ আদানপ্রদানের পথ বন্ধ করিয়া দিলেন ; উদেষ্ঠ যে, অষ্ঠ পুত্ৰগণের নিকট রাজধানীর সংবাদ না পৌছিতে পারে। আবার আওরঙ্গজেব পিতৃদর্শন হেতু আগ্রায় যাইতেছিলেন, পথিমধ্যে দারার সৈন্য র্তাহার পথরোধ করিল, সুতরাং ভ্রাতৃবিরোধ অপরিহায্য হইয় পড়িল। দারার পরাজয়ের পর মুরাদ মনে করিতে লাগিলেন যে, তাহারই প্রস্তাপে দারা পরাভূত, কাজেই তিনিই সিংহাসনের অধিকারী। সুতরাং সিংহাসন লাভের পর মুরদের শক্রত হইতে ঝুঁচিবার জন্ত তাহাকে কারারুদ্ধ করা আওরঙ্গজেবের স্বীয় নিৰ্ব্বিগ্নতার জন্ত প্রয়োজন হইয় পড়িয়ছিল । হিন্দু ঐতিহাসিকগণ মনে করেন যে, আওরঙ্গজেব নিষ্ঠাবান মেছলমান ছিলেন, সুতরাং তিনি ভয়ানক হিন্দুদ্বেষী দিলেন এবং ননারূপে হিন্দুগণকে নিধাতত করিয়াছিলেন। হিংসাপূর্বক হিন্দু দেবমন্দির ধ্বংসের অভিযোগও তাহার উপর আরোপিত হয়। নিম্নলিখিত বিবরণ হইতে এই সকল অভিযোগের অসারবত্তা প্রতিপাদিত হইবে । “আকবরের রাজত্বকালে কোন দেবমন্দির নূতন প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। জার্তাগীরের সময় রাজধানীতে ৭৬টা দেবমন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। হিন্দুগণ মোছলমানদিগের উপর প্রকাশ্যভাবে অত্যাচার করিতে আরম্ভ করিল এবং মোছলেম স্ত্রীদিগকে গ্রহণ BBBB BBB BSB BBBB BBBS BBB BBB BBBB S BBBBS প্রথমত ও বৎসর রাজত্বকালের মধ্যে হিন্দুদিগের নবনিৰ্ম্মিত দেবমন্দির ভাঙ্গিবার আদেশ দিয়াছিলেন। তাহার সময়েও হিন্দুগণ মোচলেমদিগের বিরুদ্ধে অত্যাচার করিয়ছিল। আওরঙ্গজেবের প্রথম ১২ বৎসর রাজত্বকালে-হিন্দুধৰ্ম্ম সংক্রাপ্ত পুস্তক মোছলেম ছত্রী
