পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । ۹دs করেন। র্তাহার সুবিচারে দেশের যথেষ্ট উন্নতি সাধিত ও রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল । তৎপরে তাহার পুত্ৰ মইনুদিন সিংহাসনে আরোহণ করেন । ১৩৮৩ খৃষ্টাব্দে তৎপুত্র ছোলতান শামছুদিন রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হন। কিন্তু রাজা গণেশ বিশ্বাসঘাতকতাপূর্বক তাহাকে নিহত করিয়া নিজে সিংহাসন অধিকার করিয়া বসেন। তিনি সিংহাসনে আরোহণ করিয়া মোছলমানগণের উপর অত্যাচার আবুম্ভ করেন। বহু-শিক্ষিত ধাৰ্ম্মিক মোছলমান তাহার আদেশে নিহত হন । তিনি স্বীয় পুত্রকে ইছলাম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়া জালালুদিন নাম প্রদান করত ৩৯২ খৃষ্টাব্দে রাজপদে অভিষিক্ত করেন। সেই সময়ে পাণ্ডুয়া সৰ্ব্বপ্রধান নগরী হইয় উঠে। ছোলেমান শাহের পুত্র দাউদ শাহ বাঙ্গালার শেষ বাদশাহ, । আকবরের রাজত্বের সময় জাহান গা কর্তৃক তিনি বাঙ্গালায় ধৃত ও নিহত হন । এই ঘটনার পর হইতে বাঙ্গালা মোগল বা তায়মুর বংশের হস্তে পতিত হয়। এই অবধি তুরাণ বা আরবী শাসনকৰ্ত্ত বা নাজমগণ বাঙ্গালার শাসনকার্য্যে দিল্লী দরবার কর্তৃক নিযুক্ত হইতেন। ইহঁাদের বিশেষতঃ সায়েন্ত খাঁর শাসন সময়ে নানাদেশ হইতে সন্ত্রান্ত মোছলেমগণ এই দেশে বাসস্থান নির্দিষ্ট করেন। তিনি তাহাদিগকে জায়গীর প্রদান করিয়াছিলেন । সুজাউদ্দিন মোহাম্মদ খাঁর রাজত্ব কালে পারপ্তের বাদশাহ, নাদের শাহ, ভারত আক্রমণ করেন । সে সময়ে দিল্লী ও অন্যান্ত সহর লুষ্ঠিত হয়। তখন অনেক লোকু সুজাউদ্দিন মোহাম্মদ খাঁর আশ্রয় পাইবার জন্য বাঙ্গাল দেশে পলাইয়া আসিয়াছিলেন। তিনি দেশত্যাগী লোকদিগকে বিশেষ সমাদর করিতেন। এই সময়ে হুগলী বাঙ্গালার বন্দর ছিল । বাঙ্গালা হইতে যে সমস্ত লোক মক্কাশরিফ কিংবা অন্তান্ত পবিত্র স্থানে যাইতেন,