পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ মোছলেম জগতের ইতিহাস । この" হজরত মোহম্মদের (দ: ) জন্মের বহু পূৰ্ব্বে আরব ও চীন দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রচলিত ছিল । সপ্তম শতাব্দীতে বাণিজ্যের ক্রমিক উন্নতি সংঘটিত হয়। আরব ও পারস্তের সওদাগরদিগের দ্বারা চীনে ইছলাম আনীত হইয়াছিল । * J খলিফা ওলিদ-বিন-আবদুল মালেকের রাজত্ব কালে অর্থাৎ যে যুগে মোহম্মদ-বিন-কাসিম সিন্ধুদেশ জয় করিয়াছিলেন, সেই যুগে মোতায়াফ নামক আরব বীর কাশগড় অতিক্রম করিয়া চীন সীমান্ত পর্য্যন্ত র্তাহার বিজয়ধারা প্রবাহিত করিয়াছিলেন । মন্তব্য :–(*) হজরত মোহম্মদের (দঃ) তিরোধানের চরি বৎসর পূৰ্ব্বে ওহাব ইবনে-আবুকবশ নামক ছাহাৰী (হজরতের প্রিয়সহচর) চীন সাগরের উপকুলবর্তী ক্যান্টন প্রদেশে পদার্পণ করেন। সেখানে তিনি পরম সমাদরে গৃহীত হন এবং তথাকার বহু সংখ্যক লোক র্তাহার নিকট ইছলাম গ্রহণ করে, পরে তথায় তিনি একটা মছজেদ নিৰ্ম্মাণ করেন। মছজেদের সঙ্গে সঙ্গে একটা, মাদ্রাসাও স্থাপিত হইয়াছিল। আৰু কবশ ৬৩২ খৃষ্টাব্দে আরবে ফিরিয়া যান। ইহার অনতিকাল পরে তিনি আবার ক্যাণ্টনে প্রত্যাবর্তন করেন । এইবার তিনি হজরত আবুবকরের সংগৃহীত কোর-আনের এক খণ্ড সঙ্গে লইয়া আসিয়াছিলেন। কিছুকাল পরে ক্যাণ্টনে তাহার মৃত্যু হয়। সেখানে র্তাহার সমাধি অদ্যাপিও বর্তমান আছে। আবু কব শ নিৰ্ম্মিত মছজেদট। ১৩৪১ খৃষ্টাব্যে পুড়িয়া গিয়া নষ্ট হইয়াছিল। তাহার পর ইহা অত্যন্ত জাকজমকের সহিত পুনঃনিৰ্ম্মিত হইয়াছে। আরও কয়েকবার উহার উপর দিয়া বিপাশাপদ গিয়াছে, কিন্তু এই সমস্ত সত্ত্বেও এই বিখ্যাত মছজেদটা আজ পর্যন্তও পৃথিবীর বক্ষে দণ্ডায়মান আছে। እ ፃ