পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস Y } সছু করিতেন। মহাপুরুষের প্রিয়তমা সহধৰ্ম্মিণী হজরত আয়েষ তাহার দুহিতা। মহাপুরুষ মুমুধু অবস্থায় তাহাকেই আচার্যোর (ইমামতের ) কাৰ্য্য এবং অন্তান্ত ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহাৰ্থ প্রতিনিধি নিযুক্ত করেন। হজরত ওমর উদারত, বীরত্ব ও যুদ্ধনৈপুণ্যে সৰ্ব্বজন প্রশংসিত ছিলেন। ইছলামের প্রাধান্য ও দৃঢ়তা রক্ষণে র্তাহার ঐকান্তিক অনুরাগ ছিল। হজরত ওছমান মহাপুরুষের শিল্প ও জামাতা ছিলেন। ইছলামের উন্নতিকল্পে তিনি বিপুল ঐশ্বৰ্য্য অকুষ্ঠিত চিত্তে ব্যয় করিয়াছিলেন। হজরত আলী হজরত মোহম্মদের (দ:) জ্যেষ্ঠতাত পুত্র ও প্রিয়তমা কন্য ফাতেমা বিবার স্বামী ছিলেন। তিনি সমস্ত সদগুণের আধার ও ধৰ্ম্মের সাক্ষাৎ প্রতিমূৰ্ত্তি ছিলেন। তাহার বীরত্ব ও যুদ্ধনৈপুণ্যে ইছলামের অনেক উন্নতি সাধিত হইয়াছিল ? উপরোক্ত চারি জন মহাত্মার মধ্যে কাহার হস্তে সম্প্রদায়ের ভার অপিত হইবে, তাহার মীমাংসার জন্য মদিনার প্রধান প্রধান ব্যক্তিগণ সমবেত হইলেন। সৰ্ব্বপ্রথমে ইহাই প্রস্তাবিত হইল যে, মোছলমানদিগের নেতৃত্ব বংশম্বমিক না হইয়া নিৰ্ব্বাচন প্রথানু্যায়ী হইবে। قيلية ছুন্নী সম্প্রদায়ের মধ্যে খেলাফত লইয়া মতদ্বৈধ আছে। ছুন্নী সম্প্রদায়ের মতানুসারে খেলাফত বলিতে “খোলাফায়ে রাশেদীন এবং উম্মীয়া ও আব্বাছীয়া খেলাফত বুঝায়। কিন্তু শিয়াগণ ইহা স্বীকার করেন না। তাহারা খলিফা আলীর অনুসরণকারী এবং তৎপূর্ববৰ্ত্তী খলিফাত্রয়ের প্রাধান্ত স্বীকার করিতে কুষ্ঠিত। তাহাদের মতে খেলাফত বা ইমামতের জন্ত শরীয়ত এবং মারফত জ্ঞানের গভীরতার সঙ্গে সঙ্গে খলিফা হজরত আলী এবং ফাতেমার বংশধর হওয়া আবশ্যক। তঁtহার খলিফা হজরত আলীকে নিম্নলিখিত কারণে সৰ্ব্বোচ্চ সন্মানের অধিকারী বলিয়া মনে করেন ;– ( ১ ) খলিফা আলী সৰ্ব্বপ্রথম ইছলাম গ্রহণ করেন । ( ২ ) তিনি হজরত মোহাম্মদের সৰ্ব্বাপেক্ষ ঘনিষ্ঠ আত্মীয় (৩) তিনি হজরত মোহাম্মদের জামাত । ( a ) - উহাদের, মতানুসারে ] হজরত মোহাম্মদ- স্বয়ং হজরত আলীকেই স্বীয় উত্তরাধিকারী নিয়োগের মত প্রকাশ করিয়াছিলেন। "