পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

있는 মোছলেম জগতের ইতিহাস । খৃষ্টাৰে মেছেরের যুদ্ধ-মন্ত্রী জেনারল আরাবী পাশা খেদিবের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করেন । প্রকারান্তরে তিনি ইংরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়াছিলেন, কিন্তু শেষে পরাজিত হইয়া লঙ্কায় নিৰ্ব্বাসিত হন। এই ঘটনার পর হইতে মেছেরে ইংরাজের কর্তৃত্ব আরও বাড়িয়া যায় এবং লর্ড ক্রোমার মেছেরের ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত করিতে আরম্ভ করেন। ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে তৌফিকের মৃত্যু হইলে তৎপুল্ল আব্বাছ পাশা ইংরাজের সহিত অতিরিক্ত মাখামাখি পছন্দ করিতেন না । ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে যখন ইংরাজের সহিত তুর্কীর যুদ্ধ আরম্ভ হয়, তখন তিনি তুর্করাজধানী কনষ্টাটিনোপলে ছিলেন। এই অবসরে ইংরেজগণ র্তাহাকে পদচ্যুত করিয়া তাহার খুল্লতাত পুত্র হোসেন পাশাকে ছোলতান উপাধি প্রদানপূর্বক সিংহাসনে বসান। এই সময় হইতে তুরষ্কের সহিত মেছেরের সকল সম্বন্ধ ছিন্ন হইয়া যায় এবং ছোলতানের নাম মাত্র শাসনাধীন মেছের বৃটিশ সাম্রাজ্যের অংশ বলিয়া পরিগণিত হয়। জগলুল পাশার নেতৃত্বে মেছেরবাসী বহু চেষ্টার ফলে দেশকে বৈদেশিক কবল হইতে মুক্ত করিয়া স্বাধীন করিয়াছে। ফোস্তাহে ;–পূৰ্ব্বে আলেকজান্দ্রিয় মেছেরের রাজধানী ছিল । খলিফা হজরত ওমর সেনাপতি আমরকে ব্যাবিলন দুর্গের নিকট প্রাচীন রাজধানী মেস্কিশের উত্তরে নূতন রাজধানী স্থাপন করিতে আদেশ দান করেন। এই স্থানই ফোস্তাৎ নামে অভিহিত । ফোস্তাৎ মছজেদ আমরের কীৰ্ত্তির পরিচারক। ফোস্তাৎ তিন শতাব্দী যাবৎ রাজধানী বলিয়া পরিগণিত ছিল । তৎপরে ৯৬৯ খৃঃ অব্দে তাহার পরিবর্তে কায়রো প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সময় হইতে ২২৫ বৎসর যাবৎ মেছের মোছলেম খেলাফতের অঙ্গীভূত ছিল। এই সুদীর্ঘ কালের মধ্যে মোছলেম শাসকগণ কখনও আদিম অধিবাসী খৃষ্টীয় কফ টদিগের উপর স্বীয় ধৰ্ম্ম বিস্তারে ব্রতী