পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃb” মোছলেম জগতের ইতিহাস । সেরূপ ছিল না। তৎকালে ইসলাম ধৰ্ম্মে নানা সম্প্রদায়ের স্বষ্টি হইতে লাগিল। ইছলামের আদেশের প্রতি শাসকগণের আস্থা ক্রমেই হ্রাস প্রাপ্ত হইতেছিল। হাজ্জাজের নিষ্ঠুরতা ও কঠোর শাসনই প্রজাগণের সহানুভূতির বিলোপ সাধন করে। ի মধ্যযুগে মোছলেমদিগের বিদ্যাচচৰ্চা।– জ্ঞানার্জন স্ত্রী পুরুষ নিৰ্ব্বিশেষে সকল মোছলেমেরই অবশ্য-কৰ্ত্তবা। হাদিছের এই অমূল্য অনুজ্ঞা অনুসরণ করিরাই মধ্যযুগে মোছলেমদিগের ভিতর শিক্ষার এত উন্নতি ঘটয়ছিল। অন্য একটা হাদিছে উক্ত আছে,—“এক ঘণ্টা কাল বিজ্ঞান শিক্ষা সহস্র সহিদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান করা অপেক্ষা শ্রেয়; এবং সহস্র রজনীতে উপাসনা করা অপেক্ষা প্রশংসনীয়।” মোছলেমদিগের মধ্যে যে বিজ্ঞান চর্চার বিশেষ আদেশ ছিল, এতদ্বারা তাহারই প্রতীয়মান হইতেছে। কথিত আছে, চিকিৎসক এবনে-রোমায়া পশ্চিম দেশে যে সকল পত্র মঞ্জরী দুল্লভ, তদনুসন্ধানার্থ পদব্রজে স্পেন হইতে মেছর এবং মেছর হইতে ছিরিয়া পর্যন্ত গমন করিয়ছিলেন। আবুল মঞ্জুর চিত্রকর সন্ত ওষধি অন্বেষণে স্বদেশ হইতে যাত্রা করিয়াছিলেন। তিনি দুলভ লতা পাতার চিত্র উঠাইয়া অতি ঘষ্ট্রে রক্ষা করিতেন। উদ্ভিদ বিদ্যাবিৎ জিয়াউদ্দীন-এর নে-বিতা গ্রীস, স্পেন ও এশিয়া भईनत्व প্রভৃতি স্থানে উদ্ভিদবিদ্যা চর্চার জন্ত পর্যটন করিয়াছিলেন। মধ্য যুগে মোছলেমদিগের মধ্যে উদ্ভিদবিদ্যার ঘুেরূপ অনুসন্ধিৎসা ও চর্চা ছিল, বৰ্ত্তমান যুগে অনেক সভ্য ও শিক্ষিত জাতির মধ্যেও সেরূপ দৃষ্ট হয় না। ইউরোপীয় চিকিৎসকগণ অদ্যাপি মুক্তকণ্ঠে মোছলেম ভৈঘজ্যশাস্ত্রের প্রশংসা করিয়া থাকেন। মোছলেমগণ এমন অনেক ভৈষজ্যতত্ত্ব আবিষ্কার করিয়াছেন, যাহা এখনও পাশ্চাত্য চিকিৎসাশাস্ত্র আবিষ্কার করিতে পারে নাই। যে সময় মোছলেম-স্পেনসাহিত্য ও বিজ্ঞানের উন্নতির চরম সীমায় উপস্থিত