১২৬ মোহন অমনিবাস ו মিঃ বেকার কহিলেন, “আমারও নেই। তা হলে এখানে ব্যথা মাথা না ঘামিনে উঠে এস।” "চল।” বলিয়া মোহন উঠিয়া দাঁড়াইল এবং পুনশ্চ কহিল, "এক মিনি}ে জন্য আমাকে মাজ’না করো, বন্ধ । আমি প্রস্তুত হয়ে আসি।” মোহন ড্রইং-রমে ফিরিয়া গিয়া দেখিল, রমা বসিয়া চিন্তা করিতেছে। মোহনকে দেখিয়া অকস্মাৎ উদ্বেগে ভাঙ্গিয়া পড়িয়া কহিল, “কাজ নেই আ টাকায় । তুমি ওসব দুদন্তি লোকের পিছনে লাগতে যাবে না।” মোহন এইরুপই কিছ: প্রত্যাশা করিতেছিল এবং সে প্রস্তুত হইয়াও আসি ছিল, সে সশব্দে হাস্য করিয়া কহিল, "এমন সোজা পথ, সহজ উপায় ছেড়ে বলছ, রানী ?” “পথ সোজা নয়, উপায় সহজ তো নয়ই।” এই বলিয়া রমা স্বামীর বে উপর মুখ রাখিয়া পুনশ্চ কহিল, “তুমি কি জান না, কোন ইংরাজ লেখক লিে জামনি গেসটাপোরা কিরুপ দদস্তি আর বেপরোয়া জীব ? ওরা পারে না, এ দুঃসাধ্য কাজ নাকি জগতে নেই। তুমি যাই বলো, আমি তোমাকে যেতে দেব না। মোহন নিঃসন্দেহে বুঝিল, এই প্রতিরোধ সহজে থামিবে না বা থামানোও যাই না । সে নিঃশব্দে রমার মস্তকে হাত বলাইতে বলাইতে নত মুখে কহিল, "f রানী, মিঃ বেকার বিপদে পড়েছেন, তাই না ছটে এসেছেন আমাদের কাছে । বেকারের মত অকৃত্রিম বন্ধকে আমরা নিরাশ করতে পারি কী ? তা ছাড়া দিল্লী এত বড় বড় মাথাওয়ালা লোক থাকতেও আমার কাছেই যখন বড়ো মুখ করে এসেছে, তখন আমরা কি কোন কারণের জন্যই ওকে ফিরিয়ে দিতে পারি ? ছাড়া আমাকে বিশেষ কিছুই করতে হচ্ছে না । আমি যদি বুঝি, সত্যই আ দ্বারা কিছু হবে না, তবে আমি নিজেই মিঃ বেকারকে তা জানিয়ে দেব। বেকার বাইরে অপেক্ষা করছে রানী, আমি যাই ।” রমা নিঃশব্দে সরিয়া দাঁড়াইল ; মোহন মদ হাস্য মখে তাহার দিকে চা বাহির হইয়া গেল । a So - মিঃ বেকার মোটরের নিকট দাঁড়াইয়াছিলেন, মোহনকে দেখিয়া হাসিতে হাি কহিলেন, “অনুমতি মিলেছে ?” S* মোহন বিঞ্চিমত কণ্ঠে কহিল, “তুমি কি অস্তযমিী, বেকার 7" - মিঃ বেকার মোটরে আরোহণ করিলেন, মোহন তাঁহার পাশেব উপবেশন করিবার পর মোটর ছয়টিতে আরম্ভ করিলে, তিনি কহিলেন, “যখন দেখলাম, তুমি পোশাক পরিবতন করোনি, অথচ দীঘ সময় আমাকে অপেক্ষা করতে হ’ল, তখন কি মনে উদয় হওয়া সবাভাবিক নয় যে মিসেস গণতা অসম্মত হয়েছেন ?” মোহন হাসিয়া কহিল, “শধে তোমার দোহাই দিয়ে এবার অনুমতি পেয়েছি। নইলে সে যে বেকে বসেছিলো, পরিত্রাণের কোন পথই ছিল না।” মোটর ছয়টিতেছিল। অবশেষে সেক্রেটারিয়েট হাউসের নিকট উপস্থিত হইলে, মিঃ বেকার কহিলেন, “এস, মোহন ।” {
