*ა ყo মোহন অমনিবাস ভ্ৰমণ করিতেছিল ; সকলেই সম্প্রস্ত হইয়া উঠিলেন এবং প্লেন অভিমুখে গমন কaিtণ্ড লাগিলেন। হের জোমার কহিলেন, "আমুন, প্লেনে ওঠা যাক ৷” i "চলন।" বলিয়৷ মোহন তাঁহার পিছ লইল । প্লেনের নিকট ক্যাট্রেনপ্পে দাঁড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া, হের জোমার তাঁহাকে শুভরালি জানাইয়া কহিলে, “O. K. ক্যাপ্টেন ?” "O. K. স্যার ।" ক্যাপ্টেন প্রত্যভিবাদন করিয়া, সসম্ভ্ৰমে জবাব দিলেন। অপেক্ষণ পরে "ভারতবষ" প্লেনটি ভীষণ আরাবে জামেকর নৈশ-গগন কপিও করিয়া, ডানা মেলিয়া অসীম পথে যাত্রা করিল । রাত্রে গরে ভোজনের পর, প্লেমে নিম’ল, শীতল বাতাস লাগিয়া সবই প সময়ের মধ্যে যাত্রীগণ ঢলিতে আরম্ভ করিলে* এবং অনতিবিলম্বে প্রায় সকলেই সুগভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন হইয়া পড়িলেন । মোহনের তন্দ্রার আমেজ লাগিতেছিল। সে হের জোমারের দিকে চাহিণ্ডে দেখিল, ভদ্রলোক টুপি মাথায় দিয়াই ঘুমাইয়া পড়িয়াছেন। তাহার একবার ইচ্ছা হইল, মাথা হইতে টুপিট খালিয়া রাখিয়া দেয়। কিন্তু অকস্মাৎ তাহার স্মরণ হইল, দিল্লী হইতে যাত্রা করা অবধি তিনি এক মহত্যের জন্যও টুপিটা ত্যাগ করেন নাই। উপরন্তু তাহার মনে পড়িল যে, রাত্রের আহার কালে টুপি মাথায় দিয়া ংেক জোমারকে খাইতে দেখিয়া, মোহন মনে মনে ক্ষম হইয়া ভাবিয়াছিল যে, লোক9ি যেমন দুদস্তি, তেমনি অসভ্য ; আদেী আদব-কায়দা-দরমত নহে । কিন্তু ৰে। জোমার তৎক্ষণাৎ বলিয়াছিলেন যে তাঁহার টুপি মাথায় দিয়া আহার করিতে বসা জন্য মিঃ ওয়েব যেন তাঁহাকে মাজ’না করেন। তিনি অনেক বদ অভ্যাস ছাড়িয়াছে। মাত্র এটিকে পারেন নাই । মোহন তখন হাসিয়া বলিয়াছিল, “আমি এজন্য কিছ মনে করব না। আপনি ইচ্ছে করলে, আর একটা টুপিও ব্যবহার করতে পারেন।” মোহন হাসিতে হাসিতে ইহা বলিলেও, জোমার তাহা হাসিতে হাসিতে লই৬ে পারেন নাই । তিনি মুখ গম্ভীর করিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “আপনি • বোঝাতে চাইছেন ?" _న్రిగ মোহন প্রশন ও বর শনিয়া বিস্মিত হইয়াছিল ; সে তখনওঁ হাসিতে হাদিwে বলিয়াছিল, "আমি বোঝাতে চাইছি যে, এই সব তুই ব্যাপার নিয়ে মাথা ব্যথা করবার সময় আমার নেই। আপনারও থাকা উচিত নয়।" সতরাং মোহন সবিস্ময়ে আপনাকে আপনি প্রশ্ন করিল, “ইহাও কি সম্ভব। ইহাও কি সম্ভব ।”
- io, <--
( ১৪ ) মোহন টুপিটির দিকে ক্ষুধাত দুটি দিয়া চাহিয়া রহিল। তাহার বঙ্গে আশার বাণী মুখর হইয়া উঠিল । তাহার ইচ্ছা হইতে লাগিল, সে দই হাত । দবে:"ত্তের কন্ঠনালী চাপিয়া ধরিয়া মাথা হইতে টুপিটা ছিনাইয়া লয়।
