পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ মোহন অমনিবাস * বাহিত হইয়া গেল। সঙ্গে সঙ্গে এরোপ্লেনের বিপদ-জ্ঞাপক ঘণ্টাধীনতে সঙ্কণ৷ আরোহী জাগিয়া উঠিল । এরোপ্লেনের উত্‍কা গতি স্তিমিত হইয়া আসিল । প্লেনখানি চক্রাকারে ধীরে ধীরে আকাশের বক্ষে পরিক্লমা আরম্ভ করিল। প্রত্যেকটি যাত্রী আতঙ্কে বিহবল হইয়া, পরস্পর পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, “কি ব্যাপার ? সব নাশ হয়েছে । কল বিগড়েছে ? কি হয়েছে ?" এমন সময়ে ক্যাপ্টেন ঘোষণা করিলেন, “অতীব দুঃখের সঙ্গে আমার : যায়ীগণকে জানাচিছ যে, আমাদের এরোপ্লেনটির ইঞ্জিন হঠাৎ এমন খারাপ হয়েৰে যে রক্ষা পাবার বোধ হয় কোন chance নেই। আমার ভয় হয়, আগামী দশ মিনিটের মধ্যে আমাদের সকলকে প্রাণ দিতে হবে।” সঙ্গে সঙ্গে যে-দশ্যের সমাবেশ হইল, তাহা বৰ্ণনাতীত, কল্পনাতীত দশ্য। সম্মুখে মৃত্যুকে দেখিয়া যাত্রীগণ বিহবল হইয়া পড়িলেন । যিনি জীবনে কখনও কুন্দন করেন নাই, তিনি প্রিয়তম আত্মীয়-স্বজনের নাম ধরিয়া বিলাপ করিতে আরম্ভ করিলেন । বিলাপ-ধননি, আতনাদে প্লেনের কক্ষ পণ্যে হইয়া গেল । হের জোমারের কন্ঠ শতক হইয়া গিয়াছিল । তিনি কথা কহিতে চেন্টা করিলেন, প্রথমে সক্ষম হইলেন না, পরে অতি কটে কহিলেন, "আমরা কত উচ্চে আছি, ক্যাপ্টেম ?” "প্রায় দশ হাজার ফিট, স্যার । এমন দাবিপাক-যে প্লেনে একটাও প্যারাচুর্ট নেই। আমাদের রক্ষা পাবার কোন উপায়ই দেখছি-নে, স্যার।" এমন সময় প্লেনটি একবার ডিগবাজি খাইল । যাত্রীগণ এ-উহার গাত্রে আতfনাদ করিয়া পড়িয়া গেলেন, পনরায় প্লেনটি সোজা হইলে মৃত্যু-পথের ষান্ত্রীগুলি সোজা হইয়া বসিলেন । একজন যায়ী কহিলেন, "প্লেন নামিয়ে ফেলনে, এখনি নামিয়ে ফেলুন।" "সে চেষ্টা কি আর না হয়েছে, স্যার, কিছতেই না পারা যাচ্ছে নুমাতে না পারা যাচ্ছে এগিয়ে নিয়ে যেতে । পাইলট বলছে, আর ৭ মিনিটের মধ্যে ইঞ্জিন ফেটে যাবে, তারপর “ও ভগবান।" এইরুপ আতনাদ করিয়া ক্যাণ্টেন দই হাতে মুখ চাপিয়া বসিলেন । o شيو মোহন শাক মাখে কহিল, "ভাগ্যিস আমার প্যারাষ্ট্রটা সঙ্গে ছিল, ক্যাপ্টেন।" সকল যাত্রী মোহনের দিকে চাহিলেন ; দেখিলেন, একজন ইংরাজ প্যারাচুটে ভূষিত হইয়া দাঁড়াইয়া কথা বলিতেছেন । মোহন সকলের দিকে একবার চাহিয়া মান করে ডাকিল, “ক্যাপ্টেন ?” “আদেশ করন স্যার ।" ক্যাটেন মুখ না তুলিয়া ধরা গলায় কহিলেন । "আমি এই মহাতে লাফিয়ে পড়বো । আমি দুঃখিত, আমার কাছে এই একটি প্যারাচুট ছাড়া আর দ্বিতীয় নেই। এখন বলন, আপনার কোন শেষ ইচছা আপনার অফিসে জানাতে হবে ?” ক্যাপ্টেন মুখ তুলিয়া কহিলেন, "ধন্যবাদ, স্যার। তবে দয়া করে আমার