পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহনের জামানী অভিযান 33 কfরলে, মোটর এরোড্রোম অভিমুখে ছয়টিতে লাগিল । মোহনের একবার ইচ্ছা হইল, অফিসারকে জিজ্ঞাসা করে যে হের জোমার ফিরিয়াছেন কি-না, কিন্তু এই ভাবিয়া নিরস্ত হইল যে তাহার প্রশ্ন একান্ত অবাস্কর titণ । কারণ আর কেহ না জানকে তাহার তো অবিদিত নাই যে, হের জোমার nullলতনি করিয়া তাহার ভারতে প্রত্যাবতনি কিরুপ সংশয়াকুল করিয়া তুলবে । মোটর ঠিক ন’টা সাতান্ন মিনিটের সময় এরোড্রোমে প্রবেশ করিল। মোহন ও অফিসার তুরস্ক-গামী এরোপেলনের নিকট মোটর হইতে অবতরণ করিল। মোহন ভাবিয়া অফিসারকে কহিল, “আমি অফিস থেকে একটু সংবাদ জেনে আসি ।" মোহন এরো-অফিসে প্রবেশ করিয়া এনকোয়ারী অফিসারকে প্রশ্ন করিল, ালী-সাভি’স কখন পৌছাবে ?” ! অফিসার কাঁহলেন, “দশটা দশে পৌঁছাবার সময় ছিল। কিন্তু....” মোহন অধৈয সবরে কহিল, “কিন্তু ?” "পথে এঞ্জিন কিছু গোলমাল হ’য়ে যায়, ফলে আরও তিন ঘণ্টার প্রবে: Mছতেই আশা করা যায় না।” অফিসার চিন্তাবিত স্বরে কহিলেন। মোহনের ইচছা হইল, সে দই হাত তুলিয়া নত্য করে এবং এই সুসংবাদ শনাই৭ার জন্য অফিসারকে দুই হাতে জড়াইয়া ধরিয়া তাহার প্রজাপতি-গল্ফে শোভিত w,খে একটি চুম্বন বসাইয়া দেয়। কিন্তু সে কিছই করিল না ; আপনাকে সংযত দরিয়া কহিল, “আরো তিন ঘণ্টা পরে " "হ্যাঁ স্যার, অারো তিন ঘশটা পরে। কোনও উপায় নেই, স্যার। অবশ্য ং এসব উপদ্রবে বিব্রত হতে হয় । বতমান ক্ষেত্রে সংবাদ পেলাম যে, গভন মেন্টের ম উচ্চপদস্থ অফিসারের আদেশে এঞ্জিন দ্রুতবেগে চালাবার জন্যই এই দীঘটনা ছ। নইলে কিছল হ’তো না ।” অফিসার কৈফিয়ৎ প্রদান করিলেন। মোহন বুঝিল, হের জোমার অতি অধৈয’তার ফলেই এই শান্তি ভোগ করিয়ামোহন অফিসারকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিয়া, মাঠে এরোলেনের নিকট ফিরিয়া পিলে, অফিসার তাহার হাতে একটি রসিদ প্রদান করিলেন এবং নত বরে হলেন, “তুরকে পৌঁছে এই রসদ দাখিল করলেই, সেখানের এরো-অফিস পনাকে স্বণ-কেস ডেলিভারী দেবে।” so মোহন আস্তরিক ধন্যবাদ প্রদান করিয়া রসিদটি অতি সাবধানে পকেটে রাখিল । ইহার অলপ সময় পরে মোহন অফিসারের নিকট বিদায় লইয়া এবং ফরেন দিশার ও জামান-গভনমেন্টকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিয়া এরোপ্লেনে হণ করিল এবং ঠিক নিদিষ্ট সময়ে তুরসক-বালি'ন সাভিস এরোপ্লেনটি মোহন মোহনের লক্ষ্য মাক মল্যের সবণ” সম্পদের রসিদ লইয়া ভীমবেগে আকাশে হইল । মোহনের চক্ষর সম্মুখ হইতে দ্রত এরোড্রোম ও বালিন শহর অন্তহিত গেল। সে এইবার চক্ষ মেলিয়া অন্য বিষয়ে মন দিবার সময় পাইল । মোহনের মন এই ভাবিয়া পরম খুশি হইয়া উঠিল ষে, তুরস্কে নিরাপদে মোহন (২য়)-১৩