মোহনের অজ্ঞাতবাস ՀՖԳ সহকারী-কমিশনার তৎক্ষণাৎ কমিশনারের কক্ষ হইতে বাহির হইয়া গেলেন । ( > ) সেদিন পলিস-কমিশনারের খাস-চেম্ববারে একটি গুপ্ত অধিবেশন চলিতেছিল। *'পক্ষ স্থানীয় কয়েকজন অফিসার কমিশনারের জরুরী আহবানে সেখানে মিলেত হইয়াছিলেন । Pবয়ং কমিশনার এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করিতেছিলেন । তিনি সকল প্ৰhসারের মুখের দিকে একবার পযায়ক্ৰমে চাহিয়া কহিলেন, “আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন "W আপনাদের আহবান করেছি—তার কারণ আপনারা অলপ-বিস্তর সকলেই খণগত আছেন। তা’হ’লেও আমি প্রথম থেকে বিস্তারিতভাবে ঘটনা বিবত করছি । দসন মানিলালকে নিয়ে সবশুদ্ধ চারটি লোকের মৃত্যু ঐ একই লোক, ছদ্মনামী 'বিষাণ কতৃক সংঘটিত হয়েছে। প্রত্যেকটি কেসেরই কোন কিনারা পলিসM৬াগ করতে পারে নি। এমনি বিসময়ের বিষয় এই ষে, প্রত্যেকটি মৃত্যু-শাসিত ঐ একই অপরাধের জন্য অথাৎ আদেশ অমান্যের জন্য এই ‘রত্নবিষাণ’ কর্তৃক দেওয়া ইtWছে । এমন সতকভাবে প্রত্যেকটি হত্যাকাণড করা হয়েছে যে, সামান্য কোন প্রমাণ tঞ্চানও কেসে পাওয়া যায় নি । একে একে চার-চারটে হত্যা-কান্ড এই শহরের ৰঙ্কে ঘটে গেল, অথচ কোন কিনারা হ’ল না, এর চেয়ে লজ্জার বিষয়, দনামের বিষয় আমার বিভাগের আর কি হতে পারে ? সত্য বলতে কি, এই ঘটনা আমাকে এvটা লজ্জিত ও উদ্বিগ্ন ক'রে তুলেছে, যদি অদর ভবিষ্যতে এই হত্যাকারীকে রেফতার করা না যায় বা হত্যাকাডের কোন সুরাহা না হয়, তা’ হ’লে বাধ্য হ’য়ে আমাকে পদত্যাগ করতে হবে।” এই বলিয়া কমিশনার ক্ষণেকের জন্য নীরব টেলেন। তিনি দেখিলেন, প্রত্যেকটি অফিসারের মুখ গরু-গভীর আকার ধারণ করিয়াছে। তিনি পনরায় বলিতে লাগিলেন, “এই ‘রন্দ্রবিষাণ কে, তা’ আমাদের মালিকার করতেই হবে। এখন আমি আপনাদের অভিমত শনতে চাই। আপনারা একে একে আপনাদের মন্তব্য প্রকাশ করন, যাতে আমাদের কাজ সহজ হয়ে ওঠে।" এই বলিয়া তিনি ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টার মিঃ পাইনের দিকে চাহিয়া কহিলেন, "ম পাইন, আপনার অভিমত আমি প্রথমেই শনতে চাই আপনি কি বলেন ?” ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টার মিঃ পাইন, যিনি পর পর চারটি হত্যাকাণ্ড সম্বন্ধে জnসন্ধান করিয়াছিলেন, তিনি কমিশনারের আদেশ পাইয়া উঠিয়া দাঁড়াইলেন এবং Mহতে লাগিলেন, “স্যার 1 গভীর লজ্জা ও দুঃখের সঙ্গে আমি জানাচিছ যে, এই wটি কেসের প্রত্যেকটি সম্বন্ধে আমি পত্ৰখানুপুঙ্খরুপে অনুসন্ধান-কায* লিয়েছি, কিন্তু কোন একটিরও কিনারা করতে পারি নি। এইধতে দস্য 'রন্দ্রৰাণ’ এমন বিস্ময়কর সতকতার সঙ্গে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ড করে গেছে যে, আমাকে টি পা ও অগ্রসর হতে দেয় নি। প্রত্যেকটি হত্যা—আপনি যে হেতু প্রদশ’ন ছেন—সেই আদেশ অমান্যর ফলেই ঘটেছে। আমার দঢ় ধারণা, এই দস্য ভাবে নিজের প্রভাব অসম্ভব রকমে দস্যদলের ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে।
